বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তারা আড়তে গিয়ে পণ্য পাচ্ছেন না। এক আড়তদার বলছেন, বন্যার কারণে পণ্য সরবরাহ বন্ধ। এ কারণে বাড়ছে দাম।
Published : 24 Aug 2024, 10:35 PM
আকস্মিক বন্যা আর বৃষ্টিতে সরবরাহ ঘাটতি হওয়ায় চট্টগ্রামে সবজির দাম লাফ দিয়েছে। কেজি, কোথাও এক হাজার টাকা।
শনিবার সকালে নগরীর আসকারদিঘীর পাড় কাঁচাবাজারের দোকানদার আবদুর রহিম মরিচ বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকা কেজি দরে।
সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরের রেয়াজুদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতা হাসান কাঁচামরিচ বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে সাড়ে ছয়শ টাকায়। শুক্রবার পণ্যটির দাম ছিল ৪৫০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, বন্যার কারণে কাঁচামালের সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। সড়কে মহাসড়কে পানি, দূর থেকে আসতে পারছে না ট্রাক। ফসল তলিয়ে গেছে, সেই ফসলও বাজারে আসেনি। সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়তির দিকে।
বিক্রেতা রহিম মিয়া জানান, তিনি ভোরে রেয়াজুদ্দিন বাজারের আড়তে গিয়ে মরিচ পাননি। একজনের কাছে যা পেয়েছেন তা অনেক বেশি দামে কিনেছেন।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান বলেন, বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
নগরীর মোমিন রোড এলাকার ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের সবজি বিক্রেতারা মরিচ কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। যা আগেরদিনও চারশ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের এক আড়তদার বলেন, কুমিল্লা, ফেনীতে বন্যার কারণে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মরিচসহ অন্যান্য সবজি তেমন আসতে পারছে না। সে কারণে দাম বাড়তি।
সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন লাগতে পারে বলেও তার ভাষ্য।
অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে দশ থেকে কুড়ি টাকা পর্যন্ত বাড়তি দেখা গেছে।
রেযাজুদ্দিন বাজারে খুচরা বাজারে কাকরোল প্রতিকেজি ১১০টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০, মিস্টি কুমড়া ৫০, আলু ৭০, পটল ৫০, ঝিঙা ১০০, বরবটি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকার ভ্যানে কাকরোল প্রতিকেজি ১৪০টাকা, বেগুন ১৫০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, আলু ৭০, পটল ৭০, ঝিঙা ১২০, বরবটি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।