এতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী ও ডিজিটাল আর্কাইভের ব্যবস্থা করা হবে।
Published : 23 Jun 2024, 11:22 PM
জেলা পরিষদ ভবনে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য কর্নার ‘চিরন্তন চট্টগ্রাম’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়।
ঐতিহ্য কর্নার ‘চিরন্তন চট্টগ্রাম’ এ চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, লোকাচার, সঙ্গীত, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী ও ‘ডিজিটাল আর্কাইভের’ ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি চিরন্তন চট্টগ্রাম নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক অনুপম সেন বলেন, “চিরন্তন চট্টগ্রাম ঐতিহ্য কর্নার স্থাপনের এই উদ্যোগ একটি ঐতিহাসিক কাজ হবে। এটি একটা মিউজিয়ামের আদলে তৈরি করা হবে। সার্বিকভাবে এতে বিশেষ ঘটনা ও বিষয়গুলো লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে যাতে চট্টগ্রাম নতুন প্রজন্মের কাছে মূর্ত হয়ে উঠে।
“পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম দখল করেছিল। সন্দ্বীপ থেকে তারা লোকজন ধরে নিয়ে ইউরোপে বিক্রি করত। চট্টগ্রামে শাহ সুজা আসেন। আরাকানরা এসেছিল। এসব ঐতিহাসিক ঘটনা এখানে তুলে ধরা হবে।”
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, “ঐতিহ্য কর্নারকে ডিজিটালাইজড করতে চাই। যেন বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ সংযুক্ত হতে পারে। পুরো চট্টগ্রামকে মানুষ যেন এই কর্নার থেকে জানতে পারে।”
অনলাইনে যুক্ত হয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, “এই সংকলন যেন বৃহত্তর চট্টগ্রামভিত্তিক হয়। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যেন এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। মানুষকে একীভূত রাখে ভাষা। চাঁটগাইয়া ভাষা যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তার সবটুকু যেন এতে অন্তর্ভূক্ত হয়।”
কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, “স্বপ্নটা অনেক বড়। চিরন্তন চট্টগ্রাম বললে যেন সব কিছু চোখে ভেসে ওঠে। চট্টগ্রাম বঙ্গে সবচেয়ে প্রাচীন চলমান নগরী। অখণ্ড বাংলায় চট্টগ্রাম ছিল নেক্সট টু কোলকাতা। পরে চট্টগ্রাম গুরুত্ব হারায়। তা তুলে দরকার।
চিরন্তন চট্টগ্রামকে জাদুঘরের মত করে গড়ে তোলার পরামর্শ তার।
সভায় চিরন্তন চট্টগ্রাম প্রকাশনা বিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন গবেষক ও সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দার। সভায় বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরে নানা পরামর্শ দেন।
আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, সাবেক মুখ্য সচিব এম এ করিম, পিএচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান, ইস্পাহানি গ্রুপের কর্নধার সালমান ইস্পাহানি, অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহিত উল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য সেকান্দর চৌধুরী, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, নাট্যজন আহমদ ইকবাল হায়দার, মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, স্থপতি আশিক ইমরান, লেখক নেছার আহমদ, শিল্পী দীপক দত্ত ও আবৃত্তি শিল্পী বিশ্বজিৎ পাল।