“সরষের মধ্যে যখন ভূত, তখন ডাক্তার হিসেবে জনগণকে আগাই আসতে হবে, যাতে সরষের ভূত আমরা তাড়াইতে পারি,” বলেন তিনি।
Published : 23 Dec 2024, 06:09 PM
দেশের আইনপ্রণয়নকারীরাই আইন ভঙ্গ করে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ‘সরষের মধ্যে ভূতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মেহেদী হাসান।
এই চর্চা থেকে বের হতে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, “সরষের মধ্যে যখন ভূত, তখন ডাক্তার হিসেবে জনগণকে আগাই আসতে হবে। যাতে সরষের ভূত আমরা তাড়াইতে পারি। যেখানে কঠোর হওয়ার দরকার সেখানে আমরা কঠোর হব, যেখানে নরম হওয়া দরকার সেখানে নরম হব।
“যা আমরা বলছি তা যেন ব্যক্তি পর্যায়ে ধারণ করতে পারি। যে যার পেশার প্রতি সৎ থাকলে দেখবেন দেশটা সুন্দর হয়ে গেছে। নাগরিক হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব যেন ঠিকমত পালন করি। আইন মানার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে বারবার বিপ্লবের দরকার হবে না। বারবার রক্ত দিতে হবে না।”
সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেখানে সব ক্ষমতার উৎস জনগণ, সেখানে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতার মালিক হচ্ছে জনগণ। আমরা কী করতে পারি? যেখানে যে ঘুষ নিতে চাচ্ছে, আমরা সেখানে নগদ প্রতিহত করতে হবে। যে রাজনীতিবিদ তার কমিটমেন্টের বাইরে কাজ করবে, তাকে নগদ প্রতিহত করতে হবে।”
মেহেদী বলেন, “গত ১৬ বছর আমাদেরকে একটা কালচারের মধ্যে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছে। সে কালচারটা কী? প্রত্যেক প্রত্যেকের আখের গোছানোর চেষ্টা করে।…এই যে একটা আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা, এটা শুধু প্রশাসনিক না, শুধু রাজনীতিবিদ না, একেবারে রুট লেভেলে যে একজন দিনমজুর তার পর্যন্ত চলে গেছে। আপনি যদি বলেন, ফ্যাসিবাদকে আমরা সবাই মিলে নামাই দিছি। আমার প্রশ্ন যে ১৬ বছর কেন লাগল?
“আমরা আগে কেন এটার প্রতিবাদ করতে পারলাম না? একটাই কারণ, যতক্ষণ না আমার ঘাড়ের ওপর আইসা পড়ছে, যতক্ষণ না আমার সন্তান, আমার মা-বোন অ্যাফেক্টেড না হচ্ছে ততক্ষণ আমি কিছু বলি নাই।”
মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়াও বক্তব্য দেন। কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান ভূঞা ও মিহরাজ আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম সভায় উপস্থিত ছিলেন।