নগরীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হচ্ছে সকাল থেকে।
Published : 26 May 2024, 05:37 PM
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসেত থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
রোববার চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ছাইফুল্লাহ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন।
“এই পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
এদিকে নগরীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হচ্ছে সকাল থেকে।
সকালের দিকে চট্টগ্রাম শহরে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও বেলা দেড়টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়, শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
নগরীর আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় দেখা গেছে, বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ওই এলাকার মানুষজন তাদের গৃহস্থালির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের পর থেকে সাগরে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পূর্ণিমার জোয়ার থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরও বাড়বে বলেও শঙ্কা তাদের।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, “সিটি করপোরেশন পরিচালিত ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। পাশাপাশি দামপাড়া চসিক বিদ্যুৎ কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন।”
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান।
তিনি বলেন, “চিকিৎসদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি যারা রোস্টার ডিউটি পালন করেন তাদের কর্মস্থলের আশপাশে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্যালাইন, সাপে কাটা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখা আছে।
“খুব জরুরি না হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে রোগীদের রেফার না করার জন্য বলা হয়েছে।”
সন্দ্বীপের নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হওয়ায় শনিবার রাত থেকে আমরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কেন্দ্র থেকে চলে আসার পর তারা আবার নিজেদের বাড়ি ঘরে চলে গেছে।
“দুপুরের পর থেকে সমুদ্রের পানি বাড়ার সাথে সাথে বাতাসও শুরু হয়েছে। এখন কিছু লোক নিজ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে, আবার অনেককেই আমরা জোর করে নিয়ে যাচ্ছি।”