পাওনা টাকার জন্য আটকে রেখে ‘মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের’ পর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চট্টগ্রামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এক সপ্তাহ আগে রাউজান উপজেলায় এ ঘটনার পর মঙ্গলবার কর্ণফুলী উপজেলা থেকে মো. ইদ্রিস (৫০) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইদ্রিস রাউজান উপজেলার মোকামী পাড়ার বাসিন্দা।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১৬ মে রাউজান উপজেলা থেকে কাজী দিদারুল আলম (৬০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়, যাকে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে ওই বাড়িতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন।
এ ঘটনায় দিদারুল আলমের ছেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চারজনের নামে মামলা করেন। মামলায় ইদ্রিসকে অন্যতম আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে ইদ্রিস ও তার সহযোগীরা রাউজান ছেড়ে পালিয়ে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলী থানার আলতি নগর এলাকা থেকে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা আবসার।
র্যাব জানায়, নিহত দিদারুল আলম প্রবাস জীবন কাটিয়ে পাঁচ বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে নিজে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হন। পরে পাওনাদারদের ভয়ে রাউজান ছেড়ে চট্টগ্রাম নগরীতে এসে থাকা শুরু করেন।
গত ১৩ মে দিদারুল রাউজান গেলে পাওনাদাররা তাকে ইউনুস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। টাকা আদায়ের জন্য সেখানে দিদারুলকে ‘মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন’ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। ওই বাড়িতে ইউনুসের সঙ্গে ইদ্রিসসহ আরও কয়েকজন ছিল বলে র্যাবের ভাষ্য।
র্যাব কর্মকর্তা আবসার আরও জানান, গত ১৬ মে দিদারুল তার ভাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে বলে ইউনুস ও তার পরিবারের সদস্যদের নোয়াপাড়া এলাকায় পাঠান। এর ফাঁকে দিদারুল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।