ক্যাথলিক আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ হাউসে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পক্ষপাতহীনভাবে প্রতিটি ধর্মের পাশে রয়েছে।”
Published : 24 Sep 2024, 08:56 PM
এবারের দুর্গাপূজা ‘স্বাচ্ছন্দ্য ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে’ পালন করা যাতে সম্ভব হয় সেজন্য সব ধরনের সর্তকতামূলক প্রস্তুতি সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মঙ্গলবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশানের কার্যালয় ও লাইব্রেরি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি জানতে চাইলে খালিদ হোসেন বলেন, “দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এবারের পূজা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালন করা সম্ভব হয় সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সকল প্রকার সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
“সকল জেলার জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজিসহ সকলের সাথে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছি। পূজায় নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। আশা করি সকলের সহযোগীতায় এবারেরও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যথেষ্ট ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালন করতে পরবে।”
চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ একটি ঐতিহাসিক মসজিদ, ২০১৩ সালে এ মসজিদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাভুক্ত করার কথা শোনা গেলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা যদি টেকসই অর্থনীতি গড়তে সমর্থ হই তবে এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজস্বখাতভুক্ত করার চেষ্টা করব। এটা করতে পারলে আমরা নিজেরাও গৌরবান্বিত হব।”
এদিন পাথরঘাটার সেন্টপ্লাসিড’স স্কুল ও চট্টগ্রাম জপমালা রানী ক্যাথিড্রাল গির্জা পরিদর্শন শেষে ক্যাথলিক আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ হাউসেও বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা।
সেখানে তিনি বলেন, “এবার প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। নির্বিঘ্নে পূজার কাযক্রম সম্পন্ন করার জন্য সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি ৬৪ জেলার ডিসি, এসপিকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে স্থানীয় লোকদের সাথে যোগাযোগ করে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। “যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
তিনি বলেন, “এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত মাঝেমধ্যে উপসনালয়ে হামলা চালায়। আপনারা মনে রাখবেন, রাষ্ট্র পক্ষপাতহীনভাবে প্রতিটি ধর্মের পাশে রয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ধর্মচর্চা, ধর্মঅনুশীলন এবং ধর্মপ্রচার এসব বিষয়ে সরকার সবসময় আপনাদের সহযোগিতা করে যাবে।”
চট্টগ্রাম আর্চডায়োসিসের ভিকার জেনারেল ফাদার টেরেন্স রড্রিক্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান, খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও, চট্টগ্রামের বিভিন্ন গির্জার পাস্টার, ক্যাথলিক সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্রতধারী ব্রাদার ও সিস্টার এবং খ্রিষ্টভক্তরা।