রেমাল: চট্টগ্রামে বিমান ওঠানামা সোমবার ভোর পর্যন্ত বন্ধ

রোববার সকালে বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছিল। সন্ধ্যায় তা আরও ৯ ঘণ্টা বাড়ানো হয়।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধের সময় আরও ৯ ঘণ্টা বাড়িয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

নতুন সময় হিসেবে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধ থাকবে।

রোববার সকালে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছিল। সন্ধ্যায় তা আরও ৯ ঘণ্টা বাড়িয়ে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রাত আটটার দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় ধরে চলবে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পটুয়াখালীর পায়রা ও বাগেরহাটের মোংলা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

খুলনা, সাতক্ষীরা বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনা এই ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, ফেনী, কক্সবাজার, নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তার দ্বীপগুলোও এই বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে চট্টগ্রাম শহরে রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে।

সকালের দিকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও বেলা দেড়টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে, শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বৃষ্টি বন্ধ থাকে।

তবে সতর্কতার কারণে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলেও যান চলাচল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে।