Published : 29 Jan 2024, 07:20 PM
চা পাতা বিক্রি হতো ফেইসবুকে পেইজ খুলে। আকর্ষণীয় ছবি ও কথায় ‘সুন্দর লিকার’ আর গুনগত মানের চা বিক্রির বিজ্ঞাপন থাকত সেখানে। চায়ের মান নিয়ে পাঁচ হাজার টাকার ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ও দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর সেই ভালো লিকারের গোমর ফাঁস হয়ে গেছে। দেখা গেছে চায়ে রং মিশিয়ে বিক্রি করছিল সেই ফেইসবুকভিত্তিক কোম্পানিটি।
নগরীর পাহাড়তলি থানার এ কে খান এলাকায় ইয়ং কনজুমার ফুড প্রোডাক্টস নামের ওই কোম্পানিতে অভিযানকালে রং মেশানোর প্রমাণ পায় চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ জন্য কোম্পানির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে প্রায় দুই হাজার কেজি চা পাতা জব্দ করা হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে লাইসেন্স।
ইয়ং কনজুমার ফুড প্রোডাক্টস নামের কোম্পানিটি ‘সিটিজি’ ব্র্যান্ডের চা পাতা বিক্রি করত। মূলত ফেইসবুক পেইজ থেকে তাদের ব্যবসা পরিচালিত হত।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযানে গিয়ে দেখতে পেলাম ওই প্রতিষ্ঠানের ফ্লোরে চা পাতা ফেলে রাখা। এরমধ্যে একপাশের কিছু চা পাতা ভেজা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠান মালিক ইউনুস মিয়া চা পাতায় রং মেশানোর কথা স্বীকার করে।”
জিজ্ঞাসাবাদে মালিক ইউনুস মিয়া বলেন, ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে তিনি রং সংগ্রহ করেন। ১৫ গ্রাম রং শুরুতে ৫ কেজি চায়ের সঙ্গে মেশানো হয়। পরে ৫ কেজি চা ৫০ কেজি চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে প্যাকেটজাত করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ইউনুস মিয়া ২০২২ সাল থেকে চায়ের ব্যবসা করছে।
“তিনি ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তার চায়ের লিকারে সেরা রং হয়। মূলত তিনি নিম্নমানের চা কেনেন। নিম্নমানের চায়ে ভালো লিকার হয় না। তাই রং দেয়। এগুলো চকলেট ও কেকে ব্যবহারের রং।”
প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরের এই চা পাতা দিতে চারশ-পাঁচশ প্যাকেট বিক্রি হয়।
রুহুল আমিন বলেন, “তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে যাতে আর চায়ের ব্যবসা করতে না পারে।”