মঙ্গলবার বন্দরনগরী ও চট্টগ্রাম জেলায় সব মিলিয়ে চারশ জনের মত টিকার চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন।
Published : 20 Dec 2022, 06:50 PM
সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে, তবে প্রথম দিনে সাড়া মেলেনি তেমন।
মঙ্গলবার বন্দরনগরী ও জেলায় সব মিলিয়ে চারশ জনের মত চতুর্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন।
প্রচার কম হওয়া, বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে যাওয়ায় টিকা নিতে আগ্রহ কম থাকাকে আগ্রহ কম হওয়ার কারণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আপামর জনসাধারণকে বিনামূল্যে কোভিড টিকার আওতায় নিয়ে এসেছেন। যা অনেক বড় আর্জন।
“সঠিক সময়ে টিকা দেওয়ার ফলে দেশের মানুষ এখন নিরাপদ আছে। এতবড় একটি জনবহুল দেশে মৃত্যু শূন্য দিন অতিবাহিত করা বিরল একটি সাফল্যর বিষয়। সবার আন্তরিকাতা ও সহযোগিতায় আমরা কাজটি করে যাচ্ছি।”
নগরীর প্রতিটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র রেজাউল সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় মেয়র নিজেও টিকা নেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, ছাপা মোতালেব হাসপাতাল, বন্দরটিলা মাতৃ সদন হাসপাতাল এবং কাট্টলী মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা কালাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের চারটি কেন্দ্রে ১৫০ জনের মত টিকা নিয়েছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা আছে। টিকা নিতে আগ্রহীরা আসলে টিকা দেওয়া হবে।”
এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচ, বন্দর হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতালেও টিকা দেওয়া হয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস পার হলে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে ৬০ বছর বা এরচেয়ে বেশি বয়সী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী, সম্মুখসারীর যোদ্ধা, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শুধু চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সীরা ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে এলেই টিকা দিতে পারবেন।
“প্রথম দিন হওয়ায় হয়ত সাড়া কম। এবার এসএমএস পাঠানো বা মাইকিং করা হয়নি। কয়েক দিন পর হয়ত টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে। পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা মজুদ আছে চট্টগ্রামে। এবার ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।”
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার প্রথমদিনে জেলার ১৫টি উপজেলায় সব মিলিয়ে ১০২ জন চতুর্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩০ জন টিকা নিয়েছেন।
উপজেলাগুলোর মধ্যে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, কর্ণফুলী, মীরসরাই ও পটিয়াতে একজনও মঙ্গলবার করোনভাইরাসের চতুর্থ ডোজের টিকা নেননি।
নগরীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথম দিনে আমাদের হাসপাতালে ১১৪ জন টিকা নিয়েছেন। আরও ২-৩দিন গেলে বুঝা যাবে টিকা গ্রহণের প্রবণতা কেমন।”
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে করোনার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়।