খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে ‘অসাধু ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হবে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2023, 04:02 PM
Updated : 21 May 2023, 04:02 PM

দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ‍ঘুরে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম ‘কারসাজি করে’ বাড়ানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

পেঁয়াজের বাজারের ‘ঝাঁজ’ কমাতে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম রোববার এই পাইকারি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজার মনিটরিং করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে।”

বিষয়টি জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে উমর ফারুক বলেন, বাজার মনিটরিং দল খাতুনগঞ্জে যাওয়ার পরপরই অনেক আড়তদার তাদের আড়ৎ ও দোকান বন্ধ করে সটকে পড়েন।

“যেসব আড়তে আমরা অভিযান চালিয়েছি, সেখানে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পেঁয়াজের রশিদে দাম উল্লেখ থাকার কথা থাকলেও শুধু পেঁয়াজ লেখা আছে। তার বাইরে অন্যকিছু সেখানে ছিল না। যার কারণে আড়তদাররা ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।”

মূল্য তালিকা না রাখা ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় বার আউলিয়া ট্রেডার্সকে পাঁচ হাজার টাকা ও ফরিদপুর বাণিজ্যালয়কে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানিয়ে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য ভোগ্যপণ্যেরও দাম বেড়েছে বাজারে। সেক্ষেত্রেও ‘মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট’ দায়ী।

“বাজারে আমরা লক্ষ্য করেছি ডিও ১০ জনের বেশি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং দল অন্তত ৬০০ মধ্যসত্ত্বভোগীর নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছে, যারা পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী।”

কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশাপাশি মিল মালিকদের কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানান উমর ফারুক।

ঈদের আগে থেকে পেঁয়াজের হঠাৎ বাড়তি দর ঈদ শেষে ছুটতে শুরু করে ‘রকেট গতিতে’। সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দর ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে।

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও বলছেন, ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Also Read: ‘পেঁয়াজ আমদানি ছাড়া উপায় নেই’, কৃষি মন্ত্রণালয়কে বাণিজ্যের চিঠি

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের খবর নেওয়ার চেষ্টা করে সরকার জানতে পেরেছে অধিকাংশ কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছ। দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশায় তারা ধরে রেখেছেন।

বিশৃঙ্খলা চলছে চিনির বাজারেও।গত ১০ মে সরকার খোলা চিনির কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা আর প্যাকেটের চিনি ১২৫ টাকা ঠিক করেছে। তবে বাজারে ১৪০ টাকার নিচে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।