“কেউ জোরপূর্বক এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না; যে কেউ দাবি করতে পারে, কিন্তু সেটারওতো একটা প্রক্রিয়া আছে,” বলেন তিনি।
Published : 23 Oct 2024, 10:06 PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে নিজ বিভাগে ‘আটকে রেখে জোর করে পদত্যাগপত্র লিখিয়ে নেওয়ার’ অভিযোগ উঠেছে।
রন্টু দাশ নামের ওই শিক্ষক ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বুধবার সকালে নিজ বিভাগে কিছু শিক্ষার্থী তাকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্র নেয় বলে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান।
২০১৪ সালের দিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রন্টু দাশ একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
সকালে তিনি নিজ বিভাগে গেলে কিছু শিক্ষার্থী তাকে অবরুদ্ধ করে বিভাগের সভাপতির কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র লিখতে বাধ্য করেন। ঘটনার পর পদত্যাগপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে লেখা - “আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী স্বেচ্ছায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এ বিষয়ে আপনাকে অবগত করছি।”
জানতে চাইল প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে খবর পেয়ে আমরা ইতিহাস বিভাগে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিভাগের প্যাডে ওই শিক্ষক পদত্যাগ করেছে- এমন লেখা দেখতে পেয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা একটি পত্রিকার পুরানো সংবাদের কাটিং এনে দেখাচ্ছে ‘যোগ্যতা শিথিল করে’ এ শিক্ষককে বিভাগের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আবার একটা পেপার কাটিং দেখিয়েছে- এ শিক্ষক ‘হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এবং মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন’।”
এছাড়া ওই শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিরুদ্ধে ছিল’ বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে বলে জানান তিনি।
পদত্যাগের একটা প্রক্রিয়া রয়েছে মন্তব্য করে প্রক্টর বলেন, “কেউ জোরপূর্বক এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। যে কেউ দাবি করতে পারে, কিন্তু সেটারওতো একটা প্রক্রিয়া আছে।
“কোনো শিক্ষকের ক্লাস কারও ইচ্ছা না হলে না করতে পারে। কিন্তু জোর করেতো কেউ কিছু করতে পারে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়ে তানভীর মোহাম্মদ বলেন, “বিকালে নিরাপদে তাকে শহরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে শিক্ষক রন্টু দাশের মোবাইলে ফোনে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।