Published : 30 Jun 2024, 08:05 PM
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আবার মা মাছের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হালদায় পাঁচটি মা মাছ ও একটি ডলফিনের মৃত্যু হলো।
রোববার বেলা ১টার দিকে আজিমের ঘাট এলাকায় প্রায় ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের মৃত মা কাতল মাছটি উদ্ধার করা হয়। এটি সম্প্রতি মারা যাওয়া মা মাছগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী ড. মনজুরুল কিবরিয়া রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে এতগুলো মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যু হালদার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর জন্য একটি অশনিসংকেত।
“বেশ কয়েকমাস ধরে হালদার শাখা খালগুলোর দূষণের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। মা মাছের মৃত্যুর কারণ হিসেবে শাখা খালের দূষণ ও বিষ দিয়ে মাছ মারার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া- এ দুটোই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।”
বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের দ্রুত উদ্যোগ দাবি করেন এই হালদা বিশেষজ্ঞ।
এর আগে শুক্রবার হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকায় সাড়ে ১২ কেজি ওজনের একটি এবং ১০ কেজি ওজনের আরেকটি মৃত কাতাল মাছ উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি পঁচে গিয়েছিল।
তার আগে বুধবার রাউজান উপজেলার উড়কিচরের বাকর আলী চৌধুরী ঘাট এলাকায় ১০ কেজি ওজনের একটি মৃত রুই মাছ নদীতে ভেসে ওঠে। মঙ্গলবার হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সিপাহির ঘাট এলাকায় ভেসে উঠে ৭ ফুট লম্বা ও ৮৯ কেজি ওজনের একটি ডলফিন।
আর গত সপ্তাহে উড়কিরচর এলাকায় আরেকটি মৃত মা মাছ ভেসে উঠেছিল। মৃত মাছগুলোর মধ্যে একটি মা মাছ এবং মৃত ডলফিনটি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে নেয়া হয়।
হালদা পাড়ের বাসিন্দা এবং সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে হালদা সংলগ্ন পাঁচটি খাল ও দুটি বিলের দূষণের প্রভাব এখন নদীর পানি ও মাছের উপর পড়তে শুরু করেছে।