দণ্ডিতরা সবাই ঠিকাদার কোম্পানি মীর আখতার-পারিসার (জেভি) ওই সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
Published : 10 Jul 2024, 01:33 PM
এক যুগ আগে বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রায়ে ৮ আসামির সবাইকে ৭ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আটজন হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম। তারা সবাই ঠিকাদার কোম্পানি মীর আখতার-পারিসার (জেভি) ওই সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপম চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের অবহেলার কারণে প্রাণহানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ (২) ধারায় ৫ বছরের সশ্রম, তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস সাজা দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি ৩৩৮ ধারায় প্রত্যেক আসামিকে ২ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। দুই সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে। ফলে আসামিদের সাত বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষনার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আদালত কক্ষ থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়লে তাতে চাপা পড়ে ১৩ জনের প্রাণ যায়।
পরে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানার ওই সময়ের এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
এছাড়া ঠিকাদারি কোম্পানি মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর এজাহার বর্হিভূত একজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম।
আর এজাহারভুক্ত সিডিএ এর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি কোম্পনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৮ জুন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান।
বিচার শুরুর ১০ বছর পরে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় চলতি বছর জানুয়ারিতে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জুন এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসে।
পুরনো খবর...
ফ্লাইওভার ধসের ঘটনায় ৮ জন অভিযুক্ত
'তদারকিতে অবহেলার কারণে ফ্লাইওভার ধস'
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধস: সাক্ষী ২ পুলিশ বিরুদ্ধে পরোয়ানা
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
'অবহেলা ও অনভিজ্ঞতার কারণে ফ্লাইওভার ধস'
'তদারকিতে অবহেলার কারণে ফ্লাইওভার ধস'
ফ্লাইওভার ধস: প্রকল্প পরিচালক বরখাস্ত