গত কয়েকমাস ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়, বলেন পাকিস্তানে হাই কমিশনার।
Published : 23 Jan 2025, 07:48 PM
পাকিস্তানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
বৃহস্পতিবার আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেডার সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
পাকিস্তানের হাই কমিশনার দলটির নেতৃত্ব দেন বলে চট্টগ্রাম চেম্বারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আহমেদ মারুফ বলেন, “উভয়দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য থাকলেও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে। শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকে রপ্তানি বাড়ানোর কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ থেকেও কীভাবে রপ্তানি বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যেও কাজ করা প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অংশ হিসেবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন হাইক মিশনার।
এজন্য ‘বিজনেস টু বিজনেস’ সম্পর্কোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
আহমেদ মারুফ বলেন, গত কয়েকমাস ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। এরই অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে।
হাই কমিশনার দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা সভায় সভাপততিত্ব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মিল রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পণ্য পাকিস্তানে রপ্তানি হয় না।
‘‘যেখানে পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৯তম আমদানিকারক দেশ এবং পাকিস্তান থেকে প্রতিবছর প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তাই উভয় দেশই বাণিজ্য বাধা বিশেষ করে নন-ট্যারিফ বাধা দূর করে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দেশটির দূতাবাসের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাশে জাইন আজিজ, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি অব পাকিস্তানের সহকারী পরিচালক সারাং গুল, পাকিস্তানের রিশাদ মতিন গ্রুপের পরিচালক সাজিয়া মতিন, সল্ট হাউস পাকিস্তানের মোহাম্মদ শফিক, সাংগো এন্টারপ্রাইজের বাবর আমিন মালিক, আদিল ট্রেডার্সের মোহাম্মদ আদিল, রোশান গ্রুপের খালিদ ইজাজ কোরেশি।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, অনুরা এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মায়া এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টারের মশিউর রহমান সৈকত, রয়েল বিচ রিসোর্টের মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।