সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে বলা হয়েছে।
Published : 10 Apr 2025, 10:22 PM
অবশেষে চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করার অনুমতি পেয়েছে ‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ‘।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ডিসি হিলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর গানের তালিকা প্রশাসনকে আগেই দেখাতে হবে।
পহেলা বৈশাখের এ অনুষ্ঠান দেখভাল করার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদারকি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে বৈঠকে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাইলেও তাদের বিকাল ৪টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
পরিষদের সমন্বয়কারী সুচরিত দাশ খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“বিতর্ক হবে এমন কোনো গান বা কবিতা না রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেও বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যেসব গান করা হবে, সেসবের তালিকাও আমরা প্রশাসনকে দেব বলেছি।”
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ বাংলা নববর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান করে আসছে।
এবার ৪৭ বারের মত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে তারা আবেদন করে।
গত মঙ্গলবার আয়োজকদের সঙ্গে প্রশাসনের সভায় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি ঝুলিয়ে রাখা হয়। এতে আয়োজকরা অনুষ্ঠান করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে।
এবারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ৬০টির মত সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডিসি হিলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক বিষয়ে পর্বেক্ষণে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদারকি কমিটি করা হয়েছে। এতে ছাত্র প্রতিনিধি, জাসাসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আছেন।”
আয়োজকদের অনুষ্ঠানস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।