সুরতহালে যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
Published : 17 Jan 2025, 11:19 AM
চট্টগ্রামের টাইগারপাস রেল কলোনির পরিত্যক্ত ভবন থেকে উদ্ধার করা যুবকের মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি এক মাসেও।
পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত করে এ যুবককে খুন করা হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। তবে ‘আরও সুনির্দিষ্টভাবে’ বলতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজন।
লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ড ধরে নিয়েই পুলিশ মামলা করেছে। ছিনতাইকারী বা মাদকসেবীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে, সে ধারণা মাথায় নিয়েই তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাস কলোনির ১৯/২ ভবনের সিঁড়ি থেকে আনুমানিক ৩০ বছর ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর খুলশী থানার এসআই বেলাল হোসেন জানিয়েছিলেন, সিঁড়িতে লাশটি উপুড় হয়ে পড়েছিল। পুলিশের ধারণা, কয়েকদিন আগেই মারা গেছেন ওই যুবক।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে সেটির তদন্ত করছেন এসআই সুবীর পাল।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আমরা এখনও হাতে পাইনি। তবে এটা নিশ্চিত যুবকটিকে খুন করা হয়েছে। সুরতহালে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার ডান পাশে কানের উপরে তাকে আঘাত করা হয়েছে। সেখানে রক্ত জমাটের কালচে দাগ আছে।”
তিনি বলেন, “এক মাসেও লাশটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কেউই লাশের খোঁজ নিতে আসেনি। লাশে পচন ধরায় আঙ্গুলের ছাপও নেওয়া হয়নি। পরিচয় শনাক্ত করতে পারলে কেন তিনি পরিত্যক্ত ভবনটিতে গিয়েছিলেন এবং কারা খুন করল সেটি নিশ্চিত হওয়াটা সহজ হত।”
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুবীর পাল বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের পাশে কেবিন জংশনের কাছেই ভবনটি। ওই এলাকাটি মাদকসেবন এবং ছিনতাইপ্রবণ এলাকা। ছিনতাইয়ের জন্য যুবকটিকে ভবনে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নাকি তিনি মাদকসেবন করতে সেখানে গিয়েছিলেন, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
টাইগারপাস কলোনির স্থানীয়দের ভাষ্য, তিনতলা ওই ভবনটি একসময় রেলওয়ের কর্মচারীদের আবাস ছিল । কয়েক বছর আগে সেটিসহ কলোনির কয়েকটি ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
রেললাইনের পাশে হওয়ায় পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে প্রতিদিন মাদকাসক্ত এবং ‘খারাপ প্রকৃতির’ লোকজনের আড্ডা বসে। সেখানে বসে নানা ধরনের মাদকসেবন চলে। ওদিকে স্থানীয়দের তেমন যাতায়াত নেই।
লাশ উদ্ধারের দিন সকালে ভবনের সামনের সড়কে স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোর ক্রিকেট খেলছিল। ওই ভবনের ভেতরে বল গিয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে একজন বল নিতে ভবনটিতে প্রবেশের সময় দুর্গন্ধ পায়। সে সিঁড়িতে উপুড় হয়ে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে অন্যদের খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।