এশিয়া কাপে খেলার সম্ভাব্য ধরন নিয়ে আলোচনা চলছে বাংলাদেশ দলে, জানালেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
Published : 27 Aug 2022, 10:31 AM
‘স্কিল হিটিং’, ‘ফিয়ারলেস ক্রিকেট’, ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড’, নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে এমন অনেক কিছু নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে এখনও পর্যন্ত কোনো ঘরানা গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার এশিয়া কাপের আগেও যথারীতি চলছে গবেষণা। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, কীভাবে খেলা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা চলছে দলের মধ্যে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভোগান্তি চলছে বছরের পর বছর ধরেই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পারফরম্যান্স কেবল তলানির দিকেই যাচ্ছে। সবশেষ ১৫ ম্যাচে জয় কেবল দুটি। বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর টি-টোয়েন্টির কোচিং থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে। টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট করে আনা হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে।
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা টুর্নামেন্টের ভেন্যু দুবাইয়ে আসার মাত্র একদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দেন শ্রীরাম। মূলত তিনিই এখন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলাবেন। পরিকল্পনা করবেন, বাস্তবায়নের পথ দেখাবেন এবং খেলোয়াড়দের সেভাবে তৈরি করবেন।
টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাননি শ্রীরাম। তার কোচিংয়ের সঙ্গে সেভাবে পরিচিত না বাংলাদেশের কেউই। তাই স্বাভাবিকভাবেই সময় প্রয়োজন, যা নেই খুব একটা। তাই মাঠের আলোচনার পাশপাশি চলছে টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আলোচনা। শনিবার দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলনের সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্য জানালেও, বিস্তারিত কিছু বলেননি বাশার।
“আমরা মোটামুটি একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়েই কিন্তু এখানে এসেছি। দলগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে। কারণ, ওদের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। কন্ডিশন একটু ভিন্ন, সন্ধ্যায় খেলা হবে, আশা করি গরম ততটা সমস্যা তৈরি করবে না। আমরা কী করতে চাই, এই টুর্নামেন্টটা কীভাবে খেলতে চাই, সেটা নিয়ে আসলে বেশি আলাপ হচ্ছে আমাদের মধ্যে।”
ডমিঙ্গোর দর্শন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয়, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের এই মন্তব্যের পর শ্রীরামের কোচিং দর্শন নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা। তার ধরন কতটা মানানসই, তা জানার জন্য আগ্রহীর সংখ্যা কম নয়।
এটা জানার জন্য হয়তো আরও সময় লাগবে। তবে দুয়েক দিনের অনুশীলন থেকেই ইতিবাচক ছাপ চোখে পড়েছে বাশারের।
“টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট নতুন এসেছেন। তবে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন। কারণ, তিনি আগে যখন অন্য দলের সঙ্গে কাজ করেছেন, তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশের শক্তির জায়গা, দুর্বলতার জায়গা খুব ভালো করে জানেন তিনি।”
“দলের শক্তির জায়গা কোনটা, কোন জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে এটা জানা, একজন কোচের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা তিনি খুব ভালো করে জানেন, এটা নিয়েই তিনি কাজ করছেন। ভালো হোম ওয়ার্ক করে এসেছিলেন বাংলাদেশে আসার আগে। যেহেতু অল্প সময় পেয়েছেন, মোটামুটি পরিষ্কার একটা ধারণা নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছি এর একটা ফল পাব আমরা ম্যাচে।”
এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পর্বে দল মাঠে পাচ্ছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসকে। শনিবার অনুশীলনে ছিলেন সাবেক এই পেসার। টুর্নামেন্ট চলার সময় দলকে উৎসাহ দিতে থাকবেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান। তাদের উপস্থিতি উল্টো দলের জন্য চাপ হয়ে যাবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। সাবেক অধিনায়ক বাশার উড়িয়ে দিলেন তেমন শঙ্কা।
“খেলোয়াড়রা যেন খোলা মনে খেলতে পারে। দিন শেষে ব্যাপারটা নির্ভর করে খেলোয়াড়দের উপর। খেলোয়াড়রা কোনো বিষয় নিয়ে ‘ওভার থিংকিং’ যেন না করে থাকে। সবারই কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভূমিকা আছে।”
“অনেক কিছু যে করা হয়, তা নয়। যে পরিকল্পনা করা হয়, সেটা বাস্তবায়ন করা, আসলে কী করা উচিত, সেটাই খেলোয়াড়দের বলা হয়। খেলোয়াড়দের সব সময় নির্ভার রাখা হয়। তারা যেন স্বচ্ছন্দে খেলতে পারে।”