ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তিনশ ছাড়াল বাংলাদেশের স্কোর।
Published : 18 Jul 2023, 03:28 PM
শরাফউদ্দিন আশরাফের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মিড উইকেটের দিকে মারলেন মাহমুদুল হাসান জয়। বলের ঠিকানা সীমানার ওপারে নিশ্চিত হতেই পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কে, খুলে ফেললেন হেলমেট। ব্যাট আকাশের দিকে উঁচিয়ে সারলেন উদযাপন।
শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন জয়। তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পাওয়ার পর অবশ্য আর টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলে আবারও বড় শটের চেষ্টায় হারিয়েছেন নিজের উইকেট।
কলম্বোর পি সারা ওভালে মঙ্গলবার জয় করেছেন ১০০ রান। ১২ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় তিনি সাজিয়েছেন ১১৪ বলের ইনিংস। স্রেফ ৩৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ক্রিজে গিয়ে তিনি ফিরেছেন ৪৭তম ওভারে। মাঝের সময়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন বড় স্কোরের দিকে।
জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন জাকির হাসান। ছয়ে নেমে সৌম্য সরকার খেলেছন ৪২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ১৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদি হাসান। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান।
৩৫ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে জয়ের দ্বিতীয় একশ ছোঁয়া ইনিংস এটি। তার প্রথম সেঞ্চুরিও ইমার্জিং দলের হয়েই। মিরপুরে ২০২১ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে সেদিন তিনি করেছিলেন ১২৩ রান।
সেমি-ফাইনালে উঠতে এই ম্যাচে জয়টা জরুরি বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুটা হয় একদমই নাজুক। ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান ব্যর্থ হন এদিন। মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসানও পারেননি বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে।
ষষ্ঠ ওভারে জাকির হাসানকে নিয়ে শুরু হয় জয়ের লড়াই। ডানহাতি-বাঁহাতির চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ১১৭ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে দল পেয়ে যায় বড় সংগ্রহের ভিত। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে মিলে আরও ৭৯ রান যোগ করেন জয়।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই দুই রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে মারেন প্রথম বাউন্ডারি। শহিদউল্লাহ কামালের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করে নিজের প্রথম ছক্কা মারেন তিনি। শরাফউদ্দিনকে স্কয়ার কাটে চার মেরে ৫৪ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন জয়।
তার আগে ৫৮ বল খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন জাকির। তিনি এরপর আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ বলে ৬২ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর সৌম্যকে নিয়ে এগোতে থাকেন জয়। পরের পঞ্চাশ করতে খেলেন ৫৯ বল। চার মেরে ফিফটিতে পা রাখার পর সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ছক্কায়। পরে সেলিম শফির স্লোয়ার বাউন্সারে পুল করে ছক্কার চেষ্টায়ই তিনি ধরা পড়েন ডিপ মিড উইকেটে।
জয়ের আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন সৌম্য। ছয় নম্বরে নেমে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪২ বলে ৪৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে মেহেদির ক্যামিওতে শেষ ৬ ওভারে ৬০ রান তোলে বাংলাদেশ।