৭ আসর সেরার সাতকাহন

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।

মোঃ হাসিবুল করিমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2022, 12:00 PM
Updated : 12 Nov 2022, 12:00 PM

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই যেন বোলারদের ওপর ব্যাটসম্যানদের শাসন। ধুন্দুমার ব্যাটিং আর চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দর্শকদের বিনোদন দেওয়াই যেখানে ব্যাটসম্যানদের একমাত্র ব্রত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সাত আসরে দৃষ্টি ফেরালে প্রায় সবখানেই ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব চোখে পড়ে। 

সাত আসরের ছয়বারই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে ব্যাটসম্যানের হাতে। একমাত্র ভিন্নতা সেই প্রথমবার। সেটাও মূল কোনো বোলার নয়, অলরাউন্ডার। নামটা শাহিদ আফ্রিদি, মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্যই যিনি বেশি পরিচিত। তার টুর্নামেন্ট সেরার হওয়ার পেছনে ভূমিকা আছে ব্যাটিংয়েরও। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্ব সেরার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত দুটি শিরোপা জয়ী একমাত্র দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ ক্যারিবিয়ানদের কেউই জিততে পারেননি টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি। আর এবার তো চরম বাজে পারফরম্যান্সে ক্যারিয়াবিয়ানরা বিদায় নিয়েছে প্রাথমিক পর্ব থেকেই। 

চলতি আসরের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। মেলবোর্নে ম্যাচটি শুরু হবে রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়।

দুটি দেশই আগে একবার করে শিরোপা জিতেছে। তাই যেই জিতুক না কেন, ভাগ বসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ডে। 

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কোহলি দুইবার জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। এবারও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। সেমি-ফাইনালে ভারত হেরে গেলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। 

কে হবেন এবারের সেরা? এবারও কি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটি উঠবে কোনো ব্যাটসম্যানের হাতে? ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এমন নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। উত্তর মিলবে একদিন পরই। 

তাগে আগে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক গত আসরগুলোয় টুর্নামেন্ট সেরাদের পারফরম্যান্সে। 

শাহিদ আফ্রিদি-২০০৭ 

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার পথে বড় অবদান রেখেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। দল শিরোপা জিততে না পারলেও আপন নৈপুণ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

আসরে ৭ ম্যাচ খেলে আফ্রিদি ৬ ইনিংসে ব্যাটিং করে রান করেছিলেন ৯১। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়ায় খেলেছিলেন সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস। তার ব্যাটিং গড় ছিল ১৫.১৬। স্ট্রাইক রেট ছিল আকাশচুম্বি, ১৯৭.৮২!

ব্যাটিংয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন আফ্রিদি। লেগ স্পিনে ওভারপ্রতি মাত্র ৬.৭১ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন যৌথভাবে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২টি।

তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২ ছক্কা ও ১ চারে ৭ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসের পর বল হাতে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।

তবে শিরোপার মঞ্চে তিনি ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে ৩০ রান দিয়ে নিতে পারেননি উইকেট। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তীরে এসে তরী ডুবে পাকিস্তানের। স্বপ্ন ভাঙে তাদের ৫ রানের পরাজয়ে। 

তিলকারত্নে দিলশান-২০০৯ 

ইংল্যান্ডের ওই আসরে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন তিলকারত্নে দিলশান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভালো শুরু এনে দিতেন তিনি। দলের ফাইনালে ওঠার পেছনে তার ছিল ভূমিকা। 

আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন দিলশান। ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৩১৭ রান। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫২.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৪.৭৪। 

করেছিলেন তিনটি ফিফটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জেতা সেমি-ফাইনালে খেলেছিলেন আসরের সর্বোচ্চ ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। বাকি দুই ফিফটি গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া ও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। 

আসর জুড়ে দারুণ সব ইনিংস উপহার দেওয়া দিলশানের ব্যাট হাসেনি শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে রানের খাতাই খুলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ধূলিসাৎ হয়ে যায় লঙ্কানদের বিশ্ব জয়ের আশাও। তাদের ১৩৮ রান ৮ উইকেট ও ৮ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। মাতে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের উল্লাসে। 

কেভিন পিটারসেন-২০১০ 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর দিয়ে প্রথম কোনো বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। দলটির সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে কেভিন পিটারসেনের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেবার ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন পিটারসেন। ৬ ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৪৮ রান করেছিলেন ৬২ গড় ও ১৩৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে, ফিফটি দুটি। 

সুপার এইটে পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস ছিল আসরে তার সর্বোচ্চ। ৫২ বলের ইনিংসটি গড়া ২ ছক্কা ও ৮ চারে। পরের ম্যাচে আবারও জ্বলে ওঠেন পিটারসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৩ বলে করেন ৫৩ রান। দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার উঠেছিল তারই হাতে। 

ফাইনালেও হেসেছিল পিটারসেনের ব্যাট। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার ১৪৭ রান তাড়ায় ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩১ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দলের চূড়ায় ওঠার ভিত গড়ে দেন তিনি। 

শেন ওয়াটসন-২০১২ 

শ্রীলঙ্কার আসরে ইনিংস শুরু করার দায়িত্ব পড়েছিল শেন ওয়াটসনের কাঁধে। টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংয়ে বেশ কার্যকরও ছিলেন তিনি। সঙ্গে বল হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। 

ব্যাটে-বলে যেন নিজের সেরাটা মেলে ধরেছিলেন ওয়াটসন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে রান করেছিলেন সর্বোচ্চ ২৪৯, ব্যাটিং গড় ৪৯.৮০ ও স্ট্রাইক রেট ১৫০। আর পেস বোলিংয়ে ওভারপ্রতি সাড়ে সাতের নিচে রান দিয়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 

টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ বার ম্যাচ সেরা হওয়াদের একজন ওয়াটসন। ২০১২ আসরেই এই পুরস্কার তিনি জিতেছিলেন টানা চার ম্যাচে; গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সুপার এইটে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। 

আইরিশদের সঙ্গে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াটসন। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ২ উইকেট শিকারের পর অপরাজিত ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ফিরেছিলেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে। 

ওয়াটসনের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ভারতের বিপক্ষে। বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে তুলেছিলেন ঝড়। ৭ ছক্কা ও ২ চারে খেলেছিলেন ৪২ বলে ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। প্রোটিয়াদের সঙ্গে ২ উইকেট নেওয়ার পর উপহার দেন ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৭০ রানের ইনিংস। 

সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ওয়াটসন। বল হাতে ছিলেন বিবর্ণ, ব্যাটিংয়ে করতে পারেন স্রেফ ৭ রান। তার ফ্যাকাশে দিনে তার দলও মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার পথচলা। 

শেষটা হতাশার হলেও, আগের দাপুটে পারফরম্যান্সেই টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফি ওঠে ওয়াটসনের হাতে। 

বিরাট কোহলি-২০১৪ 

ব্যাট হাতে স্বপ্নের মতো এক টুর্নামেন্ট কেটেছিল বিরাট কোহলির। রান তাড়া কিংবা পুঁজি গড়া; যেকোনো পরিস্থিতিতেই দারুণ সব ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। 

বাংলাদেশে অুনষ্ঠিত ওই আসরে ৬ ম্যাচ খেলে কোহলি ৪ ফিফটিতে ১০৬.৩৩ গড়ে রান করেছিলেন ৩১৯। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে যা এখনও সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

কোহলির সেরা পারফরম্যান্স ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে। ১৭২ রান তাড়ায় ২ ছক্কা ৫ চারে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও উজ্জ্বল ছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হয়েছিলেন শেষ ওভারে। ৫৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে খেলেছিলেন ৭৭ রানের ইনিংস। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় ভারত করতে পারে স্রেফ ১৩০ রান। যা সহজেই তাড়া করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতেছিল লঙ্কানরা। 

বিরাট কোহলি-২০১৬ 

ঠিক যেন আগের আসরের প্রতিচ্ছবি। 

বিশ্ব সেরার মঞ্চে ২০১৪ সালের মতো ২০১৬ তেও নিজেকে মেলে ধরেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার জিতে নেন তিনি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। কিন্তু দলগত ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি। 

ঘরের মাঠে সেবার সেমি-ফাইনালেই শেষ হয়ে যায় ভারতের পথচলা। 

তবে পাঁচ ম্যাচ খেলেই সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেন কোহলি। তিন ফিফটিতে করেছিলেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৩ রান। গড় ছিল ১৩৬.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৭৭। একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে সবচেয়ে বেশি ২৯৫ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। 

সুপার টেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেছিলেন কোহলি। হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষেও তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রান করে। 

আসরে কোহলির সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল শেষ চারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১ ছক্কা ও ১১ চারে করেছিলেন অপরাজিত ৮৯ রান। ভারত গড়েছিল ১৯২ রানের সংগ্রহ। কিন্তু লেন্ডল সিমন্স ও আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ভারতের ফাইনালে খেলার আশা। 

ডেভিড ওয়ার্নার-২০২১ 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধরা ট্রফি অবশেষে গত আসরে উঁচিয়ে ধরে রেকর্ড পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০ ওভারের সংস্করণে দলটির এই অপূর্ণতা ঘোচানোর পথে সবচেয়ে বড় অবদান ডেভিড ওয়ার্নারের। 

ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসরে ওয়ার্নার ৭ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিতে রান করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৯। ৪৮.১৬ গড় ও ১৪৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে। 

৪ ফিফটিতে সবচেয়ে বেশি ৩০৩ রান ছিল পাকিস্তানের বাবর আজমের। 

আসর জুড়ে দারুণ সব পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি ওপেনার ফাইনালেও ছিলেন উজ্জ্বল। নিউ জিল্যান্ডের ১৭২ রান তাড়ায় ৩ ছক্কা ও ৪টি চারে করেন ৫৩ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালেও লক্ষ্য তাড়ায় ৪৯ রান করে ওয়ার্নার বেঁধে দিয়েছিলেন সুর। 

ব্যাট হাতে তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে। সেদিনও রান তাড়ায় ৪ ছক্কা ও ৯ চারে করেছিলেন অপরাজিত ৮৯ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০ চারে ৬৫ রানের ইনিংস, সেটাও লক্ষ্য তাড়ায়।