উইকেটে যখন তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হলেন মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশ তখন শক্ত ভিত্তি পেয়ে গেছে। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়েছে তখন দুটি। প্রয়োজন তখন আরেকটি জুটি। মুশফিক ও হৃদয় মিলে জুটি গড়লেন তো বটেই, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের এমন প্রদর্শনী মেলে ধরলেন যে তাদের নাম উঠে গেল রেকর্ড বইয়ে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হৃদয় ও মুশফিকের জুটিতে ১২৮ রান আসে স্রেফ ৭৮ বলে। জুটির রান রেট ৯.৮৪।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সেঞ্চুরি জুটি আছে ১০৫টি। এর মধ্যে ৯ রান রেটও ছিল না আর কোনো শতরানের জুটিতে।
বিধ্বংসী এই জুটিতে এ দিন ৪৬ বলে ৭৮ রান করেন মুশফিক, হৃদয় করেন ৩২ বলে ৪৮। হৃদয় ফিফটির আগে আউট হয়ে গেলেও মুশফিক পরে বাংলাদেশের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ৬০ বলে।
এই জুটিতে পেছনে পড়ে যায় গত বছর গড়া সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলি জুটির রেকর্ড। গত মার্চেই দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে ৮১ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন চতুর্থ উইকেটে। জুটির রান রেট ছিল ৮.৫১।
সেই জুটি ছাড়িয়েছিল সাকিব ও লিটন দাস জুটির রেকর্ডকে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়ায় ১৩৫ বলে ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েছিলেন দুজন। টন্টনে সেই জুটির রান রেট ছিল ৮.৪০।
এর আগে রেকর্ডটিতে ছিল মুশফিকের নামও। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটিতে তিনি ১৭৮ রান যোগ করেছিলেন ১৩০ বলে। জুটির রান রেট ছিল ৮.২১। সেদিন ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।
সবচেয়ে দ্রুতগতির শতরানের জুটির বিশ্বরেকর্ড অবশ্য চোখধাঁধানো। ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বোলাদের ওপর স্রেফ তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ন্যাথান অ্যাস্টল ও ক্রেইগ ম্যাকমিলান। ৪৬ বলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। নিউ জিল্যান্ডের এই জুটির রান রেট ছিল ১৭.৭৩!