আসরের শুরুটা মন্দ ছিল না শোয়েব মালিকের। পরে দুই ম্যাচে হাসেনি তার ব্যাট। তবে ঢাকায় ফিরতেই ছন্দ খুঁজে পেলেন রংপুর রাইডার্সের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নিজের অভিজ্ঞতার সবটুকু মেলে ধরে খেললেন দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ইনিংস। দাপুটে ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রংপুরকে এনে দিলেন বড় সংগ্রহ।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের ৭৫তম ফিফটিতে ঠিক ৭৫ রানেই অপরাজিত রইলেন মালিক। ৫টি করে চার-ছয়ে সাজানো তার ৪৫ বলের ইনিংসে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তার চেয়ে বেশি ফিফটি করেছেন স্রেফ চারজন ব্যাটসম্যান- ডেভিড ওয়ার্নার (৯৩), ক্রিস গেইল (৮৮), বিরাট কোহলি (৮৫) ও অ্যারন ফিঞ্চ (৭৬)।
শুরুতেই শেখ মেহেদি হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ে পাওয়ার প্লের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় মালিককে। দলীয় পঞ্চাশ পেরোনোর আগে নাঈম শেখ ফিরলে চাপে পড়ে যায় রংপুর।
চতুর্থ উইকেটে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে নিয়ে সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন মালিক। দুজন মিলে স্রেফ ৫৩ বলে যোগ করেন ১০৫ রান। যেখানে মালিকের অবদান ২৯ বলে ৫৯ রান। চাপের সময়টায় দলের ঢাল হওয়ার পাশাপাশি পরে পাল্টা আক্রমণেও দলের রান দ্রুত বাড়ান তিনি।
স্পিনে দক্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে মালিকের। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচেও সেটির ছাপ দেখা গেছে। স্পিন বোলিংয়ে করেছেন ৬০ শতাংশ রান।
এ দিন তিনি পেয়ে বসেন তাইজুল ইসলামকে। মালিকের পাঁচ ছক্কার সবকয়টিই ছিল এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে।
দশম ওভার শুরুর সময় মালিকের রান ছিল ১১ বলে ৭। ওই ওভারে তাইজুলকে পেয়েই প্রথম হাত খোলেন পাকিস্তানি তারকা। পরপর দুই বল সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন মালিক। তাইজুলের পরের ওভারে ৩টি ছয়ের সঙ্গে এক চারে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৫ রান।
১৩তম ওভারে মেহেদি হাসান রানার বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে নিজের সেরা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেন মালিক। স্রেফ ২৯ বল খেলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে পূরণ করেন ফিফটি।
পঞ্চাশ পেরিয়ে অবশ্য তেমন বাউন্ডারির দেখা পাননি। দুই চারে ১৬ বল থেকে করেন ২৫ রান। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরানে পারেননি কেউ।
মালিককে সঙ্গে দেওয়া ইনিংসে ১ চার ও ৪ ছয়ে ২৪ বলে ৪২ রান করেন ওমরজাই।