নিজের সেঞ্চুরি ও দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত শান্ত কৃতিত্ব দিলেন হৃদয়কেও

শান্তর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ জুটির পথ ধরে আইরিশদের বড় রান তাড়ায় জিতেছে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2023, 04:22 AM
Updated : 13 May 2023, 04:22 AM

সেঞ্চুরির পর নাজমুল হোসেন শান্তর উদযাপনেই ফুটে উঠছিল তার ভেতরের অনুভূতি। তবে কাজ তার বাকি ছিল আরও। সেই পথ তিনি পাড়ি দিতে পারেননি সবটুকু। তবে শেষ পর্যন্ত পেরেছে দল। শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের জুটি যেভাবে এগিয়ে নেয় দলকে, সেই পথ ধরে মুশফিকুর রহিম জিতিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ম্যাচ শেষে তাই আরও চওড়া শান্তর হাসি। 

নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, তারুণ্যের ডানায় ভেসে হৃদয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি আর দলের জয়, বলা যায় শান্তর জন্য প্রায় সব প্রাপ্তির ম্যাচ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই। 

ম্যাচ শেষে শান্ত বললেন তার ভালো লাগার কথা। কৃতিত্ব দিলেন দুর্দান্ত জুটিতে তার সঙ্গী হৃদয়কে। 

“এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি। আমি তাই খুবই খুশি। খুব ভালো লাগছে।”

“আমার মনে হয়, হৃদয় খুব ভালো ব্যাট করেছে। বিশেষ করে, যে ‘ইন্টেন্ট’ সে দেখিয়েছে, এটা আমার ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছে। সে খুবই খেলেছে।” 

৪৫ ওভারের ম্যাচে ৩২১ রান তাড়ায় বাংলাদেশ দুই ওপেনারকে হারায় পাওয়ার প্লের মধ্যে। এরপর শান্ত ও সাকিব আল হাসান ৬১ রানের জুটি গড়লেও সাকিব বিদায় নেন ২৬ রানে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা তখন অনেকটাই ম্রিয়মান।

সেটিই জাগিয়ে তোলেন শান্ত ও হৃদয়। অসাধারণ সব শটের পসরা সাজিয়ে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তারা ১০২ বলে। ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ বলে ৬৮। এরপর মুশফিকের রহিমের ২৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দল জিতে যায় তিন বল বাকি রেখে। 

৩২০ রানের চেয়ে বেশি তাড়া করে বাংলাদেশের জয়ের অভিজ্ঞতা আছে আর কেবল একটিই। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়ায় জিতেছিল দল। তবে সেটি ছিল পুরো ৫০ ওভারের ম্যাচ। এবার ৪৫ ওভারে ৩২০ রান তাড়া করাটা বড় চ্যালেঞ্জই ছিল। তবে অধিনায়ক তামিম ম্যাচ শেষে বললেন, ছোট মাঠে এই রান তাড়ার বিশ্বাস তাদের ছিল।

“আমার মনে হয়েছিল, রানটা তাড়া করার মতো। কারণ, মাঠের আকার (ছোট) ও উইকেট আগের দিনের চেয়ে বেশ ভালো ছিল। আমাদর স্রেফ প্রয়োজন ছিল ম্যাচটা গভীরে নিয়ে যাওয়া। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। তবে শান্ত ও হৃদয় যেভাবে ব্যাট করেছে, তাতে আমি খুবই সন্তুষ্ট।”

“বিশেষ করে, এই ধরনের উইকেট ও মাঠে বাউন্ডারি জন্য অস্থির হওয়ার প্রয়োজন নেই। মাঠের কারণেই বাউন্ডারি আসবেই।” 

শেষ পর্যন্ত জয়টা এসেছে বটে, তবে বাংলাদেশের চেনা পথে নয়। তামিম, লিটন দাস ও সাকিবরা সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। শান্ত ও হৃদয় মেলে ধরেছেন তারুণ্যের ঝান্ডা। এটিও তৃপ্তি দিচ্ছে তামিমকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ৪ ইনিংসে ৫০ গড় ও ১১৩ স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে চলা হৃদয়ের কথা আলাদা করেই বললেন অধিনায়ক। 

“(তরুণদের পারফরম্যান্সে) সত্যিই সন্তুষ্ট আমি… বিশেষ করে যেভাবে তাওহিদ খেলছে। শুধু এই সিরিজে নয়, দেশেও তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে। আশা করি, সে পারবে এবং এখন যেভাবে সে পারফর্ম করছে, সেটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের জন্য দারুণ হবে।”