কষ্ট ও পরিশ্রম করে হারানো জায়গা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ফাস্ট বোলারকে সবার জন্যই প্রেরণা মনে করেন নাসির হোসেন।
Published : 28 Jan 2023, 03:54 PM
নাসির হোসেনের বয়স সবে ৩১ পেরিয়েছে। জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে থাকলেও ফিরে আসা তো খুবই সম্ভব। পরিশ্রমের আগুনে পুড়ে খাঁটি সোনা হয়ে ফেরার উদাহরণ তো খুব কাছেই আছে, তাসকিন আহমেদ! নাসিরও সেটা মানছেন। শুধু নিজের জন্যই নয়, পথ হারানো সব ক্রিকেটারের জন্যই তাসকিনকে বড় উদাহরণ মনে করেন তিনি।
এবারের বিপিএলে নাসিরের নেতৃত্বেই ঢাকা ডমিনেটর্সে খেলছেন তাসকিন। দল খুব ভালো না করলেও দলের সেরা দুই পারফরমারও তারাই। ২৯১ রান করে এখনও পর্যন্ত আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নাসিরের, ১১ উইকেট নিয়ে তিনি উইকেট শিকারের তালিকাতেও আছেন দুইয়ে। তাসকিন ১০ উইকেট নিয়েছেন ওভারপ্রতি মাত্র ৬.১৬ রান দিয়ে।
তাসকিন এখন ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক সব জায়গায় সব সংস্করণেই দুর্দান্ত। তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের সেরা পেসার বলা যায় তাকেই। একসময় যদিও তিনি ছিটকে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। তাকে নিয়ে হাহাকার, হতাশাই বেশি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের। কিন্তু দুঃসময়ে জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন উপলব্ধির পর নিজেকে ভেঙেগড়ে তিনি আবার ফিরেছেন মূল স্রোতে।
এবারের বিপিএলের নাসিরের পারফরম্যান্সেও আছে ফিরে আসার ইঙ্গিত। গত ৫ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অনেকেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলেছেন। কিন্তু ফিরে আসা যে যায়, সেটি তো তাসকিন দেখিয়েছেনই!
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার ঢাকা দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাসির বললেন, তাসকিন এখন সবার জন্যই বড় অনুপ্রেরণা।
“অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে (তাসকিনের ফেরা)। এখন যারা তরুণরা আসে, আমি তাসকিনের কথাই বলি। ও যেভাবে ফিরে এসেছে, জাতীয় দল থেকে বের হওয়ার পর যেভাবে কষ্ট করেছে, এটা সব ক্রিকেটারের অনুসরণ করা উচিত। আপনি যদি বাংলাদেশের ক্রিকেট বা নিজের খেলায় উন্নতি করতে চান, তাহলে দুই ঘণ্টার জায়গায় চার ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে। সেটা নিজের জন্য ভালো হবে, বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো হবে। ও যে কষ্ট করে, পরিশ্রম করে, সেই ফল পাচ্ছে। জাতীয় দলও পাচ্ছে, বিপিএল দলও পাচ্ছে।”
ফিটনেস ও ক্রিকেটীয় স্কিলে যেমন, তেমনি তাসকিনের মানসিকতাও এখন নাসিরের কাছে দারুণ অনুকরণীয়।
“ও এখন যেখানে যে পরিস্থিতিতেই খেলুক না কেন, ম্যাচের যে অবস্থাই থাকুক না কেন, ও কখনও এটা মনে করে না যে আমরা হারতে আসছি বা হারব। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর এবং দলকে সহায়তার জন্য শতভাগের চেয়ে বেশি চেষ্টা করে। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।”