অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত করার পর ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোর অনুরোধ করেছে আফগান বোর্ড।
Published : 20 Mar 2024, 04:22 PM
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলার অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ার নয়। ‘মানবাধিকার ইস্যুতে’ অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি সিরিজ স্থগিত করায় ভীষণ হতাশ আফগানিস্তান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) বাইরের চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড এসিবি।
আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় মেয়েদের ক্রিকেট। তখন থেকেই আফগান মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে সরব অস্ট্রেলিয়া।
এর জের ধরেই ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। যেটি হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়াতেই। পরে গত বছরের মার্চে আফগানদের সঙ্গে তাদের প্রস্তাবিত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেরও একই পরিণতি হয়।
আফগানিস্তানে নারীদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও স্থগিত করে সিএ। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচির অংশ তিন ম্যাচের সিরিজটি আগামী অগাস্টে হওয়ার কথা ছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সিরিজ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় সিএ। যা একদমই পছন্দ হয়নি আফগান বোর্ডের। বুধবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়াকে এই অবস্থান থেকে সরে আসার অনুরোধ করে এসিবি।
“অস্ট্রেলিয়ান সরকারের প্রতি এসিবির আহ্বান, ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নিজেদের নীতি চাপিয়ে না দিয়ে তারা যেন বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নতিতে মনোনিবেশ করে। এসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কাজ করেছিল এবং প্রকাশ্যে (সিরিজ) প্রত্যাহারের ঘোষণা না দিয়ে বিকল্প পথ বের করার প্রস্তাব দিয়েছিল।”
এসিবি বিবৃতিতে এটাও স্মরণ করিয়ে দেয় যে, স্থগিত হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজটির জন্য সম্মতি দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড, “সিএ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে (সিরিজটি) অনুমোদন করেছিল আইসিসি এবং তারা (সিএ) তখন এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন।”
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে নিজেদের পূর্ব সিদ্ধান্তকে সম্মান দেওয়ার আহ্বানও করে এসিবি, “পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিজেদের অবস্থানকে আরেকটু সম্মান দেখাতে পারত এবং বাইরের চাপ কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবে নতি স্বীকার না করে সমাধানের বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে পারত।”
এছাড়া ‘বিশ্বজুড়ে নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত ক্রিকেটের’ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এসিবি এবং বলেছে যে ক্রিকেটকে ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত’ রাখার জন্য তারা আলোচনার জন্যও প্রস্তুত।