প্রতিপক্ষকে অল্পে থামিয়েও দলকে সাকিব বলেছিলেন, ‘খুশি হওয়ার কিছু নেই’

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আনন্দের আতিশয্যে ভেসে যেতে চাননি সাকিব আল হাসান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2023, 03:49 PM
Updated : 12 March 2023, 03:49 PM

প্রথমবারের মতো যে কোনো সংস্করণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানিতে মাঠে নামা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অল্পে গুটিয়ে দেওয়ায় সম্ভাবনা বাড়ে আরও। তবে ছোট লক্ষ্য পেয়ে আনন্দে ভেসে যেতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, শান্ত থেকে সতীর্থদের কাজ শেষ করার দিকে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। 

মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ১২ রানে ৪ উইকেটের সঙ্গে সাকিব, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে ১১৭ রান করতে পারে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই সংস্করণে পুরো ওভার খেলে যা তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। 

বোলিংয়ে ৪ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হওয়া মিরাজ বলেন, লক্ষ্য তাড়ায় সতর্ক থাকার তাড়া দিয়েছিলেন অধিনায়ক। 

 “যখন আমরা ব্যাটিংয়ে গেলাম, আমরা সবাই চেষ্টা করেছি স্বাভাবিক থাকার জন্য। একটা জিনিস হয় না যে, অনেকে খুশিতে যে... আমরা ওদের ১১৭ রানে অলআউট করে দিয়েছি, অনেক খুশি।”

“ড্রেসিং রুমে অধিনায়ক বারবার বলছিলেন যে, খুশি হওয়ার কিছু নেই। খেলাটা শেষ হবে, তারপর আমরা উপভোগ করব। তবে প্রতিটা রান, প্রতিটা মোমেন্ট আমরা যেন সিরিয়াস থাকি এবং সবাই যেন উপভোগ করি। মাঠে যারা খেলছে তাদের সাপোর্ট করি। এজন্য অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।”

শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানে গুটিয়ে গেলেও ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ। তবে তাদেরকে জুটি গড়তে না দেওয়ার কাজটি ভালোভাবে করতে পারায় লক্ষ্যটা বড় হয়নি মনে করেন মিরাজ।

 “ওরা কিন্তু শুরুটা খুব ভালো করেছিল। ওদের প্রথম ৬ ওভারে ৫০ রান ছিল। সাকিব ভাই একটা ব্রেক থ্রু, এরপর হাসান মাহমুদ উইকেট নিল। তারপর আমি আবার ওখান থেকে যে টানা উইকেট নিলাম, এই জিনিসটা ওদের মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক-দুই ওভার পরপর উইকেট গেলে, জুটি না হলে একটা দলের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। ওরা ওইখানে ভুলটা করেছে। ওরা যদি ভুল না করত, উইকেট না পড়ত, তাহলে দেখা যেত ১৬০ এর বেশ রান হতো।”

ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভুলের কথা বললেও নিজ দলের বোলারদের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরতে ভোলেননি অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

“সাকিব ভাই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, হাসান যে (জস) বাটলারের উইকেটটা নিয়েছে... পরে আমি সাপোর্ট দিয়েছি, মুস্তাফিজ সাপোর্ট দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের বোলাররা খুব ভালো করেছে।” 

“উইকেট যেমনই বলা হোক যে খারাপ বা যতটাই টার্ন করছিল, এমন ছিল না যে খেলা যাচ্ছিল না। ওরা কিন্তু শুরুটা খুব ভালো করেছে, ৬ ওভারে ৫০। তখন আমরা টি-টোয়েন্টিতে ধরেই নিতে পারি এই ম্যাচে ১৬০-১৭০ রান হতেই পারে। আমাদের বোলাররা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে।”