প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
Published : 09 Mar 2023, 01:36 PM
নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবার নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে।
পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর এই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বেলা তিনটায়।
রাসেল ডমিঙ্গো থাকার পরও টি-টোয়েন্টিতে ‘কোচের ভূমিকায়’ ছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। চান্দিকা হাথুরুসিংহে কোচ হিসেবে ফেরার পর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করা ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম অবসর নিয়েছেন আগেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এই সংস্করণের দলে নেই মাহমুদউল্লাহ। নতুন চেহারার একটি দল নিয়ে এই সংস্করণে খেলার পথ ঠিক করে নিতে হবে সাকিবকে।
সংস্করণ বদলালেও ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হলো না জস বাটলারের। সফরে টানা চতুর্থবার টস হারলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান টস জিতে নিলেন ব্যাটিং।
"আমরা জানি না, এই উইকেটে কত রান, ভালো স্কোর। তাই ওদের আগে ব্যাটিং দিয়ে আমরা সেটা তাড়া করতে চাই। বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টিতে এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ। বিপিএলে ভালো করা অনেকেই আছে এই দলে, আশাকরি তারা দেশের হয়েও ভালো খেলবে।"
বিপিএলে আলো ছড়ানো তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিনি বাংলাদেশের ৭৮তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।
৮ বছরের বিরতির পর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন রনি তালুকদার। ফিরেছেন শামীম হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, ইবাদত হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়।
বিশ্বকাপ ফাইনালের একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচ খেলা অ্যালেক্স হেলস, বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুক নেই এই ম্যাচে। তাদের জায়গায় এসেছেন বেন ডাকেট, দাভিদ মালান, জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), মইন আলি, জফ্রা আর্চার, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্ডান, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।
প্রায় ৮ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে রেকর্ড গড়লেন রনি তালুকদার। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেকের ঠিক ১০০ ম্যাচ পর নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুই ম্যাচের মাঝে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিরতি। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভন থমাসের বিরতি ছিল ১০২ ম্যাচ।
বাংলাদেশের হিসেবে এত দিন এই রেকর্ড ছিল এনামুল হকের দখলে। ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত টানা ৭৯ ম্যাচ মিস করেন এনামুল। এছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা ৫০ ম্যাচ বাইরে থাকতে হয়েছিল আবুল হাসান রাজুকে।
সময়ের হিসেবেও এনামুলকে ছাড়িয়ে গেছেন রনি। এনামুলের দুই ম্যাচের মাঝে বিরতি ছিল ৬ বছর ২২৯ দিনের। রনি ৭ বছর ২৪১ দিন পর আরেক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। প্রথম বলে ফিল সল্টের কঠিন ফিরতি ক্যাচ জমাতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সে সময় ২০ রানে ছিলেন সল্ট।
চতুর্থ বলে আকাশে তুলে দিয়েছিলেন জস বাটলার। কিন্তু তালগোল পাকিয়ে সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান! সে সময় ১৯ রানে ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
৬ ওভারে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৩৫ বলে।
নিজের শেষ বলে আঘাত হানলেন নাসুম আহমেদ। কট বিহাইন্ড করে বিদায় করলেন ফিল সল্টকে। দশম ওভারে ভাঙল ইংল্যান্ডের শুরুর জুটি।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ঠিক মতো খেলতে পারেননি সল্ট। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে আসার পর গ্লাভসে জমান লিটন দাস। ভাঙে ৬০ বল স্থায়ী ৮০ রানের জুটি।
আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন সল্ট। তিনি নিশ্চিত ছিলেন বল স্পর্শ করেনি ব্যাট। তবে আল্ট্রাএজে দেখা যায়, মৃদু স্পর্শ ছিল। ৩৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন ডানহাতি ওপেনার।
১০ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৮০। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী দাভিদ মালান।
বেশিক্ষণ টিকলেন না দাভিদ মালান। সাকিব আল হাসানকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় লংঅনে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বাঁহাতি স্পিনারের বল যতটা তুলতে চেয়েছিলেন ততটা পারেননি মালান। সীমানায় চমৎকার ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৭ বলে মালান করেন ৪ রান।
১২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৮৯। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী বেন ডাকেট।
দ্রুত ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড যেন দিক না হারায় তা নিশ্চিত করছেন জস বাটলার। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ৩২ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি।
১৯ রানে সাকিব আল হাসানের হাতে জীবন পাওয়ার পর থেকে দারুণ ব্যাটিং করছেন বাটলার। হাসান মাহমুদকে পরপর দুই বলে ওড়িয়েছেন ছক্কায়। তার ব্যাটেই বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।
১৩ ওভারে সফরকারীদের রান ২ উইকেটে ১০৬। ৩৩ বলে ৫৬ রানে ব্যাট করছেন বাটলার। ৩ বলে বেন ডাকেটের রান ৩।
দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চমৎকার এক ডেলিভারিতে উপড়ে ফেললেন বেন ডাকেটের অফ স্টাম্প।
একটু নিচু হওয়া বলে পুল করতে চেয়েছিলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটে খেলতে পারেননি, আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ২৫ বল স্থায়ী ৪৭ রানের জুটি।
১৩ বলে তিন চারে ২০ রান করেন ডাকেট।
১৬ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১৩৫। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী মইন আলি।
পরপর দুই বলে দুটি উইকেট পেল বাংলাদেশ। বেন ডাকেটের বিদায়ের পর জস বাটলারকেও হারাল ইংল্যান্ড।
হাসান মাহমুদকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। টাইমিং করতে পারেননি তিনি। লংঅনে চমৎকার ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৪২ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৭ রান করেন বাটলার।
দারুণ বোলিংয়ে ওই ওভারে হাসান দেন কেবল ১ রান।
১৭ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ১৩৬। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মইন আলি ও স্যাম কারান।
দুর্দান্ত বোলিং করা হাসান মাহমুদ পেলেন আরেকটি উইকেট। মরিয়া হয়ে তাকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়লেন স্যাম কারান।
১১ বলে তিনি করেন ৬ রান।
ওই ওভারে আরেকটি উইকেট মিলতে পারতো। কিন্তু সরাসরি থ্রো স্টাম্পে লাগাতে পারেননি সাকিব আল হাসান। নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যান মইন আলি। ক্রিজে তার সঙ্গী ক্রিস ওকস।
১৯ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ১৪৭।
দশম ওভারের শেষ ওভারে ভেঙেছিল ইংল্যান্ডের শুরুর জুটি। ১০ ওভার শেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রান ছিল ১ উইকেটে ৮০। সেখান থেকে দুইশ রানের আশেপাশে যাওয়া খুব অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তাদের কম রানেই থামিয়েছে বাংলাদেশ।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে ইংল্যান্ড।
লক্ষ্যটা নাগালে রাখায় দারুণ অবদান হাসান মাহমুদের। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তরুণ এই পেসার নেন ২ উইকেট। দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদও করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং।
৪২ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাটলার। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ফিল সর্ট ৩৫ বলে করেন ৩৮। তিন চারে ১৩ বলে বেন ডাকেট করেন ২০। আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
শেষ ওভারের প্রথম বলে চমৎকার স্লোয়ারে ক্রিস ওকসকে বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ। শেষ বলেও পেতে পারতেন উইকেট। কিন্তু সীমানা দড়ি পেরিয়ে যাওয়ার আগে বল ছুড়ে দিলেও মইন আলির ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি রনি তালুকদার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৬/৬ (সল্ট ৩৮, বাটলার ৬৭, মালান ৪, ডাকেট ২০, মইন ৮*, কারান ৬, ওকস ১, জর্ডান ৫*; নাসুম ৪-০-৩১-১, তাসকিন ৪-০-৩৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-১, সাকিব ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-২৬-২)
প্রায় ৮ বছর পর দেশের হয়ে প্রথমবার খেলতে নেমে প্রথম বলে রনি তালুকদার মারলেন চার। ক্রিস ওকসের পরের ওভারে তার ব্যাট থেকে এলো আরও দুটি বাউন্ডারি। ফেরার ম্যাচে শুরুতে বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন রনি।
২ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২১। ৮ বলে তিন চারে রনির রান ১৬। ৪ বলে এক চারে ৫ রানে খেলছেন লিটন দাস।
পেসারদের খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছিলেন রনি তালুকদার ও লিটন দাস। বাংলাদেশের শুরুর জুটি ভাঙতে পাওয়ার প্লের ভেতরেই আদিল রশিদকে আক্রমণে আনলেন জস বাটলার। কাজেও লাগল, গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন রনি।
লেগ স্পিন মনে করে খেলেছিলেন রনি। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ছিল বেশ গ্যাপ। সেটা দিয়েই লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে বল।
প্রায় ৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে চারটি চারে ১৪ বলে ২১ রান করেন রনি।
এক বল পর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলিবডব্লিউ হতে বসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর তিনি বাঁচেন রিভিউ নিয়ে। গ্লাভস স্পর্শ করেছিল বল।
পরের বলে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেন শান্ত।
৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩৭।
দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লিটন দাস। প্রথম ওভারেই মেরেছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই কিপার-ব্যাটসম্যান। জফ্রা আর্চারকে পুল করতে গিয়ে ফিরলেন সহজ ক্যাচ দিয়ে।
অফ স্টাম্পের বাইরের গতিময় ডেলিভারিতে টাইমিং করতে পারেননি লিটন। মিডঅফে সহজ ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস। ১০ বলে দুটি চারে লিটন করেন ১২ রান।
৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৪। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়।
পরপর দুই ওভারে উইকেট হারালেও দলের উপর এর প্রভাব পড়তে দিচ্ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৪। শান্ত ও হৃদয়- দুই ব্যাটসম্যানই খেলছেন ৬ বলে ১০ রান নিয়ে। শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি, অভিষিক্ত হৃদয় মেরেছেন দুটি।
ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন লিটন দাস। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে টানছেন বিপিএলে আলো ছড়ানো দুই তরুণ।
মার্ক উডের গতি একটুও ভাবাতে পারছে না নাজমুল হোসেন শান্তকে, বরং যেন উপভোগ করছেন। গতিময় ইংলিশ পেসারকে টানা চারটি চার মেরেছেন তিনি।
প্রথমটা ক্যাচের মতো ওঠেছিল, একটুর জন্য নাগালে পাননি মিড-অনের ফিল্ডার। পরের তিনটি বাউন্ডারি ছিল তিনটি চমৎকার শটে। ওই ওভার থেকে আসে ১৭ রান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭১। ৬ বলে ১০ রানে খেলছেন তৌহিদ হৃদয়। পাঁচ চারে ১২ বলে ২৭ রানে খেলছেন শান্ত।
এক পর্যায়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় টানা ছয়টি চার মারার পর মোমেন্টাম চলে এসেছে বাংলাদেশের পক্ষে। দুই তরুণ ব্যাটসম্যান দলকে রেখেছেন কক্ষপথে। তাদের দৃঢ়তায় মাঝপথে খুব ভালো অবস্থানে সাকিব আল হাসানের দল।
১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৮। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৫৯ রান চাই স্বাগতিকদের।
২৩ বলে আট চারে ৪৭ রানে খেলছেন শান্ত। দুই চারে ১৩ বলে হৃদয়ের রান ১৭। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ২৮ বলে।
আদিল রশিদকে স্লগ সুইপ করে গ্যালারিতে নিয়ে ফেললেন তৌহিদ হৃদয়! ছক্কায় বাংলাদেশের রান গেল তিন অঙ্কে, একাদশ ওভারে।
ওয়ানডে সিরিরে বাংলাদেশকে দারুণ ভোগানো লেগ স্পিনারকে ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। রশিদ প্রথম ৩ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান।
মইন আলির বলে সিঙ্গেল নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ। ২৭ বলে ফিফটি করতে তিনি মেরেছেন আটটি চার।
পরের বল ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় স্যাম কারানের হাতে ধরা পড়েন তৌহিদ হৃদয়। ভাঙে ৩৯ বল স্থায়ী ৬৫ রানের জুটি।
অভিষেকে ১৭ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২৪ রান করেন হৃদয়।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১১১। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে ৪৬ রান চাই স্বাগতিকদের।
ওভার প্রতি প্রয়োজন ছয়ের নিচে। তবুও ঝুঁকি নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। একটু হলেই দিতে হচ্ছিল এর মাশুল।
মইন আলির আগে বলে রিভার্স সুইপ ঠিক মতো করতে পারেননি আফিফ। পরের বলে আবারও একই শট খেলেন তিনি। এবার পয়েন্টে দ্বিতীয় চেষ্টায় একটুর জন্য ক্যাচ নিতে পারেননি দাভিদ মালান।
সে সময় ৫ রানে ছিলেন আফিফ।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৩।
জয় দিয়ে শুরু হলো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা। মিলল এক ঝাঁক পরিবর্তন আনার সুফল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এগিয়ে গেল সিরিজে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের ১৫৬ রান পেরিয়ে গেছে ১২ বল বাকি থাকতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৬/৬ (সল্ট ৩৮, বাটলার ৬৭, মালান ৪, ডাকেট ২০, মইন ৮*, কারান ৬, ওকস ১, জর্ডান ৫*; নাসুম ৪-০-৩১-১, তাসকিন ৪-০-৩৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-১, সাকিব ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-২৬-২)
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৫৭/২ (লিটন ১২, রনি ২১, শান্ত ৫১, তৌহিদ ২৪, সাকিব ৩৪, আফিফ ১৫*; কারান ২-০-১৮-০, ওকস ২-০-২১-০, আর্চার ৩-০-২৭-১, রশিদ ৩-০-২৫-১, উড ২-০-২৪-১, মইন ৪-০-২৭-১, জর্ডান ২-০-১৬-০)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
পরপর দুই ওভারে তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তকে বিদায় করে জেগেছিল ইংল্যান্ডের আশা। কিন্তু ৩৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে অনায়াস জয় এনে দিলেন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন।
২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। দুই চারে ১৩ বলে ১৫ রান করেন আফিফ।
ইংল্যান্ড ইনিংসের ষোড়শ ওভারের শেষ বলটার আগ পর্যন্ত সব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সেই বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারের প্রথম বলে বিপজ্জনক জস বাটলারকে বিদায় করেন হাসান মাহমুদ।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ৪ ওভারে যোগ করতে পারে কেবল ২১ রান।
প্রায় আট বছর পর ফেরা রনি তালুকদার বাংলাদেশকে এনে দেন ভালো শুরু। সেটা কাজে লাগিয়ে ৩০ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অভিষেকে ১৭ বলে ২৪ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন তৌহিদ হৃদয়।
পরপর দুই ওভারে থিতু দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ইংল্যান্ডের মতো দলকে কক্ষচ্যূত হতে দেননি সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। তারা ফেরেন দলের জয়কে সঙ্গে নিয়ে।