নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবার নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে।
পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর এই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বেলা তিনটায়।
রাসেল ডমিঙ্গো থাকার পরও টি-টোয়েন্টিতে ‘কোচের ভূমিকায়’ ছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। চান্দিকা হাথুরুসিংহে কোচ হিসেবে ফেরার পর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করা ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম অবসর নিয়েছেন আগেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এই সংস্করণের দলে নেই মাহমুদউল্লাহ। নতুন চেহারার একটি দল নিয়ে এই সংস্করণে খেলার পথ ঠিক করে নিতে হবে সাকিবকে।
সংস্করণ বদলালেও ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হলো না জস বাটলারের। সফরে টানা চতুর্থবার টস হারলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান টস জিতে নিলেন ব্যাটিং।
"আমরা জানি না, এই উইকেটে কত রান, ভালো স্কোর। তাই ওদের আগে ব্যাটিং দিয়ে আমরা সেটা তাড়া করতে চাই। বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টিতে এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ। বিপিএলে ভালো করা অনেকেই আছে এই দলে, আশাকরি তারা দেশের হয়েও ভালো খেলবে।"
বিপিএলে আলো ছড়ানো তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিনি বাংলাদেশের ৭৮তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।
৮ বছরের বিরতির পর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন রনি তালুকদার। ফিরেছেন শামীম হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, ইবাদত হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়।
বিশ্বকাপ ফাইনালের একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচ খেলা অ্যালেক্স হেলস, বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুক নেই এই ম্যাচে। তাদের জায়গায় এসেছেন বেন ডাকেট, দাভিদ মালান, জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), মইন আলি, জফ্রা আর্চার, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্ডান, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।
প্রায় ৮ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে রেকর্ড গড়লেন রনি তালুকদার। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেকের ঠিক ১০০ ম্যাচ পর নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুই ম্যাচের মাঝে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিরতি। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভন থমাসের বিরতি ছিল ১০২ ম্যাচ।
বাংলাদেশের হিসেবে এত দিন এই রেকর্ড ছিল এনামুল হকের দখলে। ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত টানা ৭৯ ম্যাচ মিস করেন এনামুল। এছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা ৫০ ম্যাচ বাইরে থাকতে হয়েছিল আবুল হাসান রাজুকে।
সময়ের হিসেবেও এনামুলকে ছাড়িয়ে গেছেন রনি। এনামুলের দুই ম্যাচের মাঝে বিরতি ছিল ৬ বছর ২২৯ দিনের। রনি ৭ বছর ২৪১ দিন পর আরেক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। প্রথম বলে ফিল সল্টের কঠিন ফিরতি ক্যাচ জমাতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সে সময় ২০ রানে ছিলেন সল্ট।
চতুর্থ বলে আকাশে তুলে দিয়েছিলেন জস বাটলার। কিন্তু তালগোল পাকিয়ে সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান! সে সময় ১৯ রানে ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
৬ ওভারে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৩৫ বলে।
নিজের শেষ বলে আঘাত হানলেন নাসুম আহমেদ। কট বিহাইন্ড করে বিদায় করলেন ফিল সল্টকে। দশম ওভারে ভাঙল ইংল্যান্ডের শুরুর জুটি।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ঠিক মতো খেলতে পারেননি সল্ট। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে আসার পর গ্লাভসে জমান লিটন দাস। ভাঙে ৬০ বল স্থায়ী ৮০ রানের জুটি।
আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন সল্ট। তিনি নিশ্চিত ছিলেন বল স্পর্শ করেনি ব্যাট। তবে আল্ট্রাএজে দেখা যায়, মৃদু স্পর্শ ছিল। ৩৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন ডানহাতি ওপেনার।
১০ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৮০। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী দাভিদ মালান।