বিপিএল
রংপুর রাইডার্সের হয়ে টানা সাত ম্যাচ খেলতে হলেও তেমন ক্লান্তি অনুভব করছেন না বলে জানালেন তরুণ গতি তারকা নাহিদ রানা।
Published : 16 Jan 2025, 08:18 PM
বিপিএলে টানা খেলার সূচিতে বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনায় নাহিদ রানার ফিটনেস ও বিশ্রামের প্রসঙ্গ। রংপুর রাইডার্সের হয়ে একের পর এক বিরামহীন ম্যাচ খেলার ধকল তার তরুণ শরীর নিতে পারবে কি না, এই শঙ্কা অনেকের। নাহিদ নিজে যদিও বললেন, তেমন কিছু এখনও অনুভব করছেন না তিনি। প্রয়োজন পড়লে নিজ থেকেই বিশ্রাম চেয়ে নেবেন বলে জানালেন তরুণ গতি তারকা।
টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত রংপুরের সাত ম্যাচের প্রতিটিতেই একাদশে ছিলেন নাহিদ। ঢাকা ও সিলেট মিলিয়ে মাত্র ৯ দিনের মধ্যে টানা পাঁচটি ম্যাচ খেলেন তিনি। এর মধ্যে দুই দফায় ছিল টানা দুই দিন ম্যাচ। পরে কিছুটা বিরতি পেয়ে ৬ দিনে খেলেন আরও দুই ম্যাচ।
ব্যস্ত এই সূচির ছাপ নাহিদের বোলিংয়ে স্পষ্ট। প্রথম চার ম্যাচে গতির ঝড় তোলা পেসার ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে পঞ্চম ম্যাচে প্রত্যাশিত গতিতে বোলিং করতে পারেননি। গতির তারতম্য কাজে লাগিয়ে সেদিন অবশ্য ৩ উইকেট পান তিনি। তবে তার তেড়েফুঁড়ে ব্যাটসম্যানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলার রূপটা সেদিন দেখা যায়নি। পরের ম্যাচে গতি ছিল আরও কম, রান খরচ করেন অনেক বেশি।
সব মিলিয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন নাহিদ। ওভারপ্রতি খরচ করেন সাত রানের কিছু বেশি। পরের দুই ম্যাচে আর সাফল্য পাননি তিনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ ওভারে দেন ৪৭ রান। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে নাহিদকে পুরো ৪ ওভারই করাননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সেদিন তার গতি ফিরলেও খরুচে বোলিংয়ে ৩ ওভারে দেন ৩৭ রান।
বিপিএলের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও নাহিদকে ম্যাচ খেলায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে একের পর এক ম্যাচ খেলে তার যেন বিশ্রাম পাওয়াই দায়।
এখন তিনি পাচ্ছেন সবচেয়ে লম্বা বিরতি। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম আসার পর পেয়েছেন তিন দিনের বিরতি। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে রংপুর।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অন্য অনেক কথার ভিড়ে এলো টানা খেলার ক্লান্তি ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের প্রসঙ্গ। নাহিদ আশ্বস্ত করলেন, দুর্ভাবনার কিছু নেই।
“আসলে একজন ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের বিষয়টা সে নিজেই জানবে। সে নিজের শরীর নিজে ভালো বুঝবে যে, কখন ভালো আছে। আমার শরীর এখন আমি ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে সহায়তা করছে। বিসিবি থেকেও খোঁজখবর নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো।”
২২ বছর বয়সী পেসার বলেন, বিশ্রামের প্রয়োজন হলে নিজ থেকেই চেয়ে নেবেন তিনি।
“অবশ্যই বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। টানা খেললে চোট পাওয়ারও শঙ্কা থাকে। এখন শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, ‘তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে।’ তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।”
দশ মাসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনও তেমন কোনো চোটে পড়েননি নাহিদ। তবে ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের সামনের দিনগুলোতে যে প্রায়ই হানা দিতে পারে চোট, সেটি ভালোই জানা তরুণ পেসারের।
সেটি মাথায় রেখেই নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম পেসার।
“পেস বোলিংয়ে চোট আসবেই। ক্রিকেট খেলতে গেলে ইনজুরি হবেই। এই জিনিসটা যত দূর সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছি যে, কোন কাজগুলো করলে ইনজুরি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওই জিনিসগুলোই করছি।”