বাংলাদেশ সফরে সম্ভাব্য স্পিন পরীক্ষায় নামার আগে নিজ দলের সামর্থ্যে আস্থা রাখার কথা বললেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
Published : 20 Oct 2024, 08:05 PM
'মিরপুরের সাধারণত যেমন হয়, তেমনই দেখেছি'- উইকেট দেখার পর নাজমুল হোসেন শান্তর অভিমত এটি। একই ধারণা এইডেন মার্করামের। কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায়, সেই ধারণাও তিনি পেয়ে গেছেন। বিরুদ্ধ এই কন্ডিশন মোকাবিলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই তার দলের। তবে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে এই লড়াই জিততে চান দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সফরের জন্য স্কোয়াড ঘোষণার দিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ শুক্রি কনরাড বলেছিলেন, 'কন্ডিশন বিবেচনায় আমরা দল সাজিয়েছি।' তবে উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ মাথায় রেখে তিন স্পিনার নিয়ে দল সাজালেও স্পিন মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই তাদের দলে। এটিই তাদের নিয়মিত টেস্ট দল। কিন্তু দলটা এখনও পোক্ত নয়।
প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিশের বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার শুধু মার্করাম। সেই মানদণ্ড কিছুটা কমিয়ে ১৫-তে নামিয়ে আনলে এই তালিকায় যুক্ত হবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইনা। ব্যাটিং লাইন-আপের বাকি সবাই তুলনামূলক নতুন ও অনভিজ্ঞ।
বাংলাদেশে টেস্ট খেলার কথা বিবেচনা করলে প্রথম ম্যাচের দলে থাকা কারোরই নেই সেই অভিজ্ঞতা। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সবশেষ বাংলাদেশের সফরের দলে ছিলেন টেম্বা বাভুমা। কিন্তু চোটে ছিটকে যাওয়ায় প্রথম টেস্টে নেই তিনি।
প্রোটিয়াদের অনভিজ্ঞ এই দলের বিপক্ষে স্পিন ফাঁদই হয়তো সাজাবে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কথায় ছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত। ঘণ্টাদুয়েক পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া মার্করামও দেন একই আভাস।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক অবশ্য স্পিনিং উইকেট নিয়ে দুর্ভাবনার পক্ষে নন। বরং দলের ক্রিকেটারদের জন্য এটি ভালো চ্যালেঞ্জ মনে করেন মার্করাম।
" অবশ্যই স্পিন সামলানো নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, বিশেষ করে আমরা যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি। এই ধরনের কন্ডিশন আমরা দেশের মাটিতে পাই না। তরুণ একটি দল আমরা, খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ হয় না, আমাদের জন্য এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়াটা বেশ রোমাঞ্চকর। দল হিসেবে আমাদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ এবং আমরা খুবই আগ্রহ নিয়ে মুখিয়ে আছি।”
স্পিনিং উইকেটের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মানসিক বাধা হতে উপমহাদেশে তাদের নাজুক রেকর্ড। গত এক দশকে এশিয়ার মাঠে কোনো টেস্ট জেতেনি প্রোটিয়ারা। গলে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কাকে ১৫৩ রানের জয়ই উপমহাদেশে তাদের সবশেষ সাফল্য। এরপর ১৪ ম্যাচে ড্র ৪টি চার পরাজয় বাকি ১০টি।
তাই উইকেট-কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের অতীত রেকর্ডও বদলানোর অভিযানে নামতে হবে মার্করামের দলকে। সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের বিশ্বাস অবশ্য অধিনায়কের আছে।
“আমরা অবশ্যই এটির (জয়ের) জন্যই এখানে এসেছি। ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। টেস্ট ইউনিট হিসেবে আমাদের স্কিল বেশ ভালো এবং স্পিন খেলার বিকল্পও আমাদের এখন বেশি। আমাদের জন্য এটা নতুন কন্ডিশন এবং অনেক সেশন খুব ভালো ক্রিকেট খেলার সুযোগ। সেটা যদি আমরা পারি, তাহলে ইতিবাচক ফলও আসবে। তবে এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই যে, কাজটা কঠিন হবে এবং সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দিক এটিই।”