বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
Published : 07 Oct 2023, 07:22 PM
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই পড়ল উইকেট। কিন্তু সকালের সূর্য তো সবসময় পুরো দিনের পূর্বাভাস দেয় না! দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও যেন তাই। শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণ সেঞ্চুরি উপহার দিলেন কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডাসেন। খুনে ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়লেন এইডেন মারক্রাম। দক্ষিণ আফ্রিকা পেল বিশাল সংগ্রহ।
ভারত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ এটিই। ২০১৫ আসরে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৭ রান ছিল আগের সেরা।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪১১, ২০১৫ সালে ক্যানবেরায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে চারশ বা এর বেশি রানের দলীয় সংগ্রহ আছে পাঁচটি, যার তিনটিই প্রোটিয়াদের।
বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া ডি কক এ দিন ৮৪ বলে খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। যেখানে ১২টি চারের পাশে ছক্কা ৩টি। ফন ডাসেন ১১০ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৮ রান।
এই দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৭৪ বলে ২০৪ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দুইশ রানের জুটি এটি।
চারে নেমে ৫৪ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৬ রান করেন মারক্রাম। ২১ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার।
বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো দলীয় ইনিংসে দেখা মিলল তিন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ইতিহাসে এই ঘটনা হলো সব মিলিয়ে চারটি। যার তিনটিই দক্ষিণ আফ্রিকার।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকেই ডি কক ও ফন ডাসেনের ওই জুটি।
৬১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ডি কক তিন অঙ্কে পা রাখেন ৮৩ বলে। বিশ্বকাপে ১৮ ইনিংসে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। ২০১৫ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সিডনিতে অপরাজিত ৭৮ ছিল আগের সেরা।
শতক ছোঁয়ার পরই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ডি কক। ১০৩ বলে শতক ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফন ডাসেনও।
ডি ককের বিদায়ের পর ৩১তম ওভারে উইকেটে যান মারক্রাম। ৪৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ঝড় বইয়ে দেন শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর।
মারক্রাম শতক স্পর্শ করেন স্রেফ ৪৯ বলে। ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সফল রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েনের ৫০ বলে শতক ছিল বিশ্বকাপে আগের রেকর্ড।
খরুচে বোলিং করেন শ্রীলঙ্কার প্রায় সবাই। তরুণ পেসার মাথিশা পাথিরানা ১০ ওভারে দেন ৯৫ রান। বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে তার চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন কেবল একজনই। ১৯৮৭ আসরে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৯৭ রান দিয়েছিলেন আশান্থা ডি মেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৪২৮/৫ (ডি কক ১০০, বাভুমা ৮, ফন ডাসেন ১০৮, মারক্রাম ১০৬, ক্লাসেন ৩২, মিলার ৩৯*, ইয়ানসেন ১২*; রাজিথা ১০-১-৯০-১, মাদুশানকা ১০-০-৮৬-২, শানাকা ৬-০-৩৬-০, ধনাঞ্জয়া ৪-০-৩৯-০, পাথিরানা ১০-০-৯৫-১, ওয়েলালাগে ১০-০-৮১-১)