টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
দলকে বলা অধিনায়কের সেই কথাগুলো তুলে ধরলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
Published : 02 Jul 2024, 10:55 PM
ফাইনাল মানেই বাড়তি চাপ। বিশ্বকাপ ফাইনাল হলে তো কথাই নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সতীর্থদের তাই সবকিছু সহজভাবে ভাবতে ও করতে বলেছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শার্মা। ট্রফি জয়ের পর দলটির ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ জানালেন, অধিনায়কের কথা কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল গোটা দলকে।
বারবাডোজে গত শনিবারের ফাইনালের ঠিক আগে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন রোহিত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ গল্প লিখে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ মঙ্গলবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে সুরিয়াকুমার তুলে ধরলেন রোহিতের সেই কথোপকথন।
“তিনি (রোহিত) আমাদের সবকিছু সহজ রাখতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি একা এই পাহাড়ে উঠতে পারব না। যদি আমাকে চূড়ায় পৌঁছতে হয়, সবার অক্সিজেন লাগবে আমার।”
পরে যেন কোনো অনুশোচনা করতে না হয়, তাই খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচে সবকিছু উজাড়’ করে দিতে বলেছিলেন রোহিত।
বিশ্বকাপে একটা নীতি অনুসরণ করে চলেছে ভারতীয় দল। সেটাও জানালেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার।
“(আসর) শুরু হওয়ার আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, টুর্নামেন্টে সামনে কী আছে তা নিয়ে আমরা কথা বলব না। কেউ সুপার এইট নিয়ে ভাবেনি এবং বারবাডোজের ফাইনালের ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের পা যেখানে আছে, সেখানে আমাদের মন থাকতে হবে। এটাই ছিল আমাদের মূলমন্ত্র।”
শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখে সুরিয়াকুমারের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ। একটা পর্যায়ে ৩০ বলে ৩০ রানের সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার যখন ১৬, হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে অনেকটা ছুটে গিয়ে বাউন্ডারিতে ডেভিড মিলারের ক্যাচ নেন সুরিয়াকুমার। অনেকের মতে, তার ওই ক্যাচই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
দুই দফার চেষ্টায় নেওয়া ওই ক্যাচ নিয়ে বিতর্কও উঠেছে। টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার ক্যাচটিকে বৈধ ঘোষণা করলেও অনেকেই মনে করছেন, সুরিয়াকুমারের পা বাউন্ডারির দড়িতে লেগে গিয়েছিল।
সুরিয়াকুমার অবশ্য বলছেন, তিনি জানতেন যে তার পা দড়ি স্পর্শ করেনি।
“আমি যখন বলটি মাঠের ভেতরে ঠেলে দিই এবং ক্যাচটি নিই, আমি জানি যে, আমার পা দড়ি স্পর্শ করেনি। আমি শুধু একটা ব্যাপার নিয়েই সতর্ক ছিলাম, বল ভেতরে ঠেলে দেওয়ার সময় পা যেন দড়িতে না লাগে। আমি জানতাম, এটা সঠিক ক্যাচ। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। বলটি যদি ছক্কা হয়ে যেত, সমীকরণ দাঁড়াত ৫ বলে ১০ রানের। এরপরও হয়তো আমরা জিততাম। কিন্তু ব্যবধানটা কম হতে পারত।”