বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলতে ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প দেখেন না ভারতের টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান।
Published : 01 Feb 2024, 08:22 PM
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৫ ম্যাচেই সেঞ্চুরি ১৪টি। ব্যাটিং গড় ৬৯.৮৫। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে রঞ্জি ট্রফির টানা দুই আসরে অন্তত ৯০০ রান করার কীর্তি। লাল বলের ক্রিকেটে সারফারাজ খানের পরিসংখ্যান রীতিমতো চোখধাঁধানো। এত ধারাবাহিকভাবে রান করার রহস্য কী? ভারতের টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া ব্যাটসম্যান বললেন কঠোর অনুশীলনের কথা। তার মতে, যত বেশি অনুশীলন করা যাবে, ম্যাচে তত লম্বা করা যাবে ইনিংস।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের জোয়ার বইয়ে দিলেও কিছুতেই জাতীয় দলের দরজা খুলছিল না সারফারাজের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে তিনি সুযোগ পেয়েছেন। লোকেশ রাহুল চোটে ছিটকে পড়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। শুক্রবার শুরু দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেকের সম্ভাবনাও আছে তার।
সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যাকে, সেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের নামের সঙ্গেও একটা সময়ে উচ্চারিত হয়েছে সারফারাজের নাম। রঞ্জি ট্রফিতে টানা দুই মৌসুমে ৯০০ বা এর বেশি করার পর ২০২২ সালের জুনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৮২.৮৩। এই সংস্করণে অন্তত ২ হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি গড় ছিল তখন কেবল ব্র্যাডম্যানের। ৪৫ ম্যাচ শেষে এখন ব্যাটিং গড়ে সারফারাজের ওপরে আছেন ব্র্যাডম্যানসহ মাত্র তিন জন।
গত মাসে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৯৬ রানের ইনিংসের পর প্রথম চার দিনের ম্যাচে ফিফটি এবং দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে ১৬০ বলে ১৬১ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট দলে এসেছেন সারফারাজ। জিওসিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, সহজে কিছুতে তৃপ্ত না হওয়াই তার আসল শক্তি।
“আমার শক্তি হলো আমি সহজে সন্তুষ্ট হই না। আমি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ বল খেলি। ম্যাচে যদি ২০০ থেকে ৩০০ বল খেলতে না পারি, তাহলে মনে হয় আমি কিছুই করিনি। এটা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় অনুশীলন।”
“আমি শুধু একটা বিষয়েই অভ্যস্ত, ব্যাটিং আর বল খেলা। পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলতে চাইলে ধৈর্য ধরে রেখে প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে। আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলি এবং সে কারণেই দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে পারি।”
কাদের ব্যাটিং দেখে শেখার চেষ্টা করেন, সেটাও জানালেন সারফারাজ।
“ভিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, এমনকি জাভেদ মিয়াঁদাদের ব্যাটিং দেখি আমি। বাবা বলেন, আমি নাকি তার (মিয়াঁদাদ) মতো ব্যাট করি। জো রুটের ব্যাটিংও দেখি। যারাই সফল হচ্ছে তাদের দেখি এবং শেখার চেষ্টা করি যে তারা কীভাবে সাফল্য পাচ্ছে। মাঠে সেটা কাজে লাগাই। এটাই করে যেতে চাই, সেটা রঞ্জি ট্রফিই হোক বা ভারতের হয়ে খেলা।”