৩০ রানের আক্ষেপ তামিম-শান্তর

তামিম ইকবাল বলেন, দ্রুত উইকেট পড়ার কারণে প্রত্যাশিত স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি তার দল। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2023, 04:22 PM
Updated : 1 March 2023, 04:22 PM

উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমি নয়, তবে অনায়াসে রান তোলার মতোও নয়। স্পিনারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকা ২২ গজে অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করতে পারল বাংলাদেশ, তবে জয়ের দেখা মিলল না। ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্তদের কণ্ঠে তাই আর কিছু রান করতে না পারার হতাশা।

শের-ই-বাংলায় বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইনিংসের ১৬ বল বাকি থাকতে ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শান্তর ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি (৫৮) ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। 

৫১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর ৪৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এরপর মুশফিক ও সাকিব আল হাসান দ্রুত ফিরে গেলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৫৩ রান যোগ করেন শান্ত। 

এই জুটির পর আবার নামে ধস। স্রেফ ২৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেটের পতনে মিইয়ে যায় ভালো স্কোরের সম্ভাবনা। ম্যাচ শেষে সে কথাই বললেন তামিম-শান্তরা। 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, দ্রুত উইকেট পড়ার কারণে প্রত্যাশিত স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি তার দল। 

“আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, আরও অন্তত ৩০-৩৫ রান করতে পারতাম। উইকেট কঠিন ছিল, বিশেষ করে স্পিনের বিপক্ষে। আমরা শুরুটা ভালো করিনি তবে মাঝের ওভারে ভালো জুটি হয়েছিল।” 

“এরপর শেষ দিকে আবার টানা ৩ (আসলে ৪) উইকেট হারাই। আমার মতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয়েছে, এটি ২৫০ রানের উইকেট ছিল। আমরা সে পথেই ছিলাম। কিন্তু এরপর উইকেট হারিয়ে ফেলি।”

তামিম যখন এই কথা বলছিলেন, ততক্ষণে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে পৌঁছে গেছেন শান্ত। তাই অধিনায়কের কথা শোনার উপায় ছিল না বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। তবে সংবাদ সম্মেলনে তামিমের সঙ্গে মিলে গেল শান্তর কথা। 

“আমার মনে হয়, এই উইকেটে ২৪০ ভালো স্কোর ছিল। যেটা আমরা করতে পারিনি। যদি ২৪০-২৪৫ রান হতো, তাহলে হয়তো বোলারদের জন্য আরেকটু সহজ হতো।”

নিজেদের ব্যাটিংয়ের ঘাটতির কথা বললেও বোলারদের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শান্ত। ২১০ রান তাড়া করতে ৪৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। তারা হারিয়েছে ৭টি উইকেট। 

জয়ের জন্য ৪৯ রান বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা। দলীয় ১০৩ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেওয়ার ফলে জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন শান্তরা।

“আমার মনে হয়েছে, আমরা যখন ইনিংসটা শেষ করেছি, হয়তো ২০-৩০ রান কম করেছি। তবে যেভাবে আমরা বোলিং শুরু করি... ১০০ রানে ৫ উইকেট। আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা ভালো কামব্যাক করেছিলাম। তবে শেষটা আরও ভালো হলে হয়তো আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম।”

“মাঝের ওভারে আমার মনে হয়, ৩টা (৪) টানা উইকেট দিয়েছি। পরে ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। আমরা যে রানটা করেছিলাম, বোলিংটা যেভাবে শুরু করেছিলাম, ওই রানটা আমরা ডিফেন্ড করার মতো অবস্থায় চলে গেছিলাম।”

অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও নিজের প্রান্তে অবিচল থাকেন দাভিদ মালান। প্রথম ওভারেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৮ চার ও ৪ ছয়ে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। 

বিরুদ্ধ কন্ডিশনে মালানের এমন ইনিংসের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি তামিম।  

“কখনও কখনও আপনাকে মালানের আজকের মতো ইনিংসকে কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের হাতে থাকা বোলিং অস্ত্রের সবকিছুই আমরা ব্যবহার করেছি। ক্যাচিং অপশনও খোলা রেখেছি। কোনো সুযোগ দেইনি। দলের বোলিং নিয়ে আমি গর্বিত। যেমনটা বললাম, একজনের ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”