তার কোচিংয়ে তিনটি বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে খেলেছে নিউ জিল্যান্ড, লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে থাকা নিয়েও ভাবছেন দারুণ সফল এই কোচ।
Published : 08 Apr 2025, 12:24 PM
চুক্তির মেয়াদ আছে আগামী জুন পর্যন্ত। তবে আগেভাগেই একটি দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন গ্যারি স্টেড। ভাবতে শুরু করেছেন আরেকটি দায়িত্বে থাকা নিয়েও। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডের কোচের দায়িত্বে আর থাকছেন না তিনি। টেস্ট দলের কোচের দায়িত্ব পেতে পুনরায় আবেদন করবেন কি না, সামনের সময়টায় সেটিও ভাববেন ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ।
স্টেডের সিদ্ধান্ত থেকে পরিষ্কার, সামনের দিনগুলিতে লাল ও সাদা বলের দলের জন্য আলাদা কোচ বেছে নেবে নিউ জিল্যান্ড। কদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া রব ওয়াল্টার কিউইদের সাদা বলের কোচ হচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন আছে।
২০১৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন স্টেড। তার খেলোয়াড়ি জীবন থেমে গিয়েছিল স্রেফ পাঁচ টেস্ট খেলেই। তবে কোচ হিসেবে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরাদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। আলাদা জায়গা করে নেন বিশ্ব ক্রিকেটেও।
তার কোচিংয়ে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তুমুল লড়াইয়ের পর স্রেফ বাউন্ডারি কম মারার নিয়মের কারণে শিরোপা জিততে পারেনি কিউইরা।
তার সময়েই ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এই বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলে নিউ জিল্যান্ড। নানা সময়ে মূল ক্রিকেটারদের অনেককে পায়নি দল। তার পরও তার কোচিংয়ের পুরো সময়টায় বেশ ধারাবাহিক ছিল দলের পারফরম্যান্স। ক্রিকেটারদের পুল বেড়েছে এই সময়ে, শক্তির গভীরতাও ফুটে উঠেছে এতে। কদিন আগেই যেমন দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বস্ত করেছে নিউ জিল্যান্ড।
টেস্ট দলের কোচ হিসেবেও তিনি দারুণ সফল। তার কোচিংয়ে প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে নিউ জিল্যান্ড, গত বছর ভারতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে তাদেরকে। নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করা হয় এই দুটি জয়কে। আরও বেশ কিছু স্মরণীয় জয় তো আছেই।
স্টেড জানালেন, টানা ক্রিকেটের ক্লান্তি থেকে এখন একটু মুক্তি চান তিনি। টেস্ট দলের কোচের দায়িত্বে থাকা নিয়ে নিজের ভাবনাও জানিয়ে রাখলেন।
“সফরের পর সফর করার জীবন থেকে কিছুটা সময়ের জন্য দূরে থাকতে চাই আমি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চাই। গত সেপ্টেম্বর থেকে ছয়-সাত মাস ধরে টানা ক্রিকেটে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে। এখন নিজের সামনে বিকল্পগুলো নিয়ে ভাবতে চাই। তবে কোচিংয়ের কিছু এখনও আমার বাকি আছে বলেই মনে করি, যদিও সেটা হয়তো সব সংস্করণের জন্য নয়।”
“আমার স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি বোঝার সুযোগ পাব সামনের সময়টায়। এরপর আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব, টেস্ট কোচের দায়িত্বের জন্য পুনরায় আবেদন করব কি না।”