চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৫৫ রান, আর শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেট। ইমরুল কায়েস ড্রয়ের লক্ষ্যের কথা জানালেও শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কৌশল সিলভার বিশ্বাস, স্বাগতিকদের অলআউট করার জন্য ৯০ ওভার যথেষ্ট।
Published : 07 Feb 2014, 06:58 PM
শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ওদের অলআউট করার মতো যথেষ্ট ওভার আমাদের হাতে আছে। কাল দ্রুত বল করলে ১০০ ওভার বল করাও সম্ভব।”
“ওদের কত ওভার দেয়া হবে তা আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। পরে দেখেছি ওদের কত রান করতে হবে। ওদের অন্তত ৪৫০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কারণ, এই লক্ষ্যে পৌঁছানো ওদের পক্ষে সম্ভব নয়।”
কুমার সাঙ্গাকারা ও দীনেশ চান্দিমালের শতকের সুবাদে ৪ উইকেটে ৩০৫ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের সামনে তাই জয়ের লক্ষ্য ৪৬৭ রান। বিনা উইকেটে ১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করায় শেষ দিনে আরো ৪৫৫ রান করতে হবে স্বাগতিক দলকে।
২০০৩ সালের মে মাসে অ্যান্টিগা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করে জয়ের রেকর্ড সেটাই।
গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য ৪৫৮ রান তাড়া করতে নেমে প্রায় জিতেই গিয়েছিল। গ্রায়েম স্মিথের দল ৭ উইকেটে ৪৫০ রান করে থেমে যাওয়ায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটা অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়।
এই দুটো উদাহরণ থাকলেও সিলভা মনে করেন, চট্টগ্রামে বাংলাদেশের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়।
“আমরা এখন আরো আক্রমণাত্মক হতে পারবো। আমার মনে হয় আমরা জয়ের মতো রান করতে পেরেছি।”
তবে ইতিহাস অনুপ্রাণিত করতে পারে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে চারশ’র বেশি রান করার কৃতিত্ব আছে তাদের, ২০০৮ সালে ঢাকা টেস্টে ৪১৩ রান। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কানরা।
উইকেট থেকে স্পিনারদের সহায়তা পাওয়ার কথা জানিয়ে সব শেষে সিলভা বলেন, “আমার মনে হয় কাল (শনিবার) বল আরো বেশি ঘুরবে। তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের শুধু সঠিক লাইন-লেন্থে এবং ফিল্ডিং অনুযায়ী বল করতে হবে।”