ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির জন্য সোমবার চা বিরতির পর খেলা আর হয়নি। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৮/৫।
Published : 21 Oct 2013, 09:32 AM
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে বাংলাদেশ। তার খেসারতও দিতে হয়েছে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে।
প্রথম সেশনে আউট হন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হক ও মার্শাল আইয়ুব।
চট্টগ্রাম টেস্টে ৩ ও ১৮ রান করা ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল এবার ফিরেছেন ৭ রানে। দিনের পঞ্চম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে পুল করতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন আকাশে। স্লিপ থেকে দৌড়ে এসে সহজ ক্যাচটি ধরেন কেন উইলিয়ামসন।
দুই উইকেট পড়ার পর অতিথি বোলারদের আক্রমণ করে দ্রুত রান তোলেন তামিম ও মমিনুল। এ জুটিতে দ্রুত আসে ৭৬ রান। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল, তামিম ও সাকিব আল হাসানের উইকেটে চাপে পড়ে গেছে স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্নভোজন শেষে ফিরে বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে যাওয়ার খেসারত দেন মমিনুল। কোরি অ্যান্ডারসনের ওভারর প্রথম বলটি সজোরে মারতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। উইকেটের অনেক বাইরে পরের বলটাও অযথা তাড়া করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন গত টেস্টে শতক হাঁকানো মমিনুল। 'সেট' হওয়ার পর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ৪৭ রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
দলকে ৩ উইকেটে ২০৮ রানের ভালো অবস্থানে নিয়ে দিক হারান তামিম। পাঁচ রানের জন্য শতক না পাওয়ায় নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দায়ী করতে পারবেন না তিনি।
নিল ওয়াগনারের আগের বলেই চার মেরে ৯৫ রানে পৌঁছেছিলেন তিনি। পরের বলটি স্লিপের উপর দিয়ে যেভাবে সীমানায় পাঠানোর চেষ্টা করলেন, তা কেবল টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই মানায়। জায়গা না করে এভাবে খেলতে যাওয়ার ফল গালিতে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ, যা আগের দুইবারের মতো আর ফসকায়নি।
চা বিরতি আগে শেষ ওভারটায় সতর্কতার সঙ্গেই খেলাই উচিত ছিল সাকিবের। অথচ ইশ সোধির মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলেন তিনি। এই আউটের পরই চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়ার। একটু পরেই শুরু হয় বৃষ্টি।
বেলা পৌনে চারটার দিকে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। প্রথম দিন ৫৪.৪ ওভার খেলা সম্ভব হয়। এ সময় ওভার প্রতি ৪.১৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
ঢাকা টেস্টের বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে পেসার আল-আমিন হোসেনের। পেসার রবিউল ইসলামের জায়গায় স্থান পাওয়া এই তরুণ স্বাগতিকদের ৭০তম টেস্ট খেলোয়াড়।
নিউ জিল্যান্ড দলে বাঁহাতি স্পিনার ব্রুস মার্টিনের বদলে জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার নিল ওয়াগনার। পঞ্চাশতম টেস্ট খেলতে নেমেছেন নিউ জিল্যান্ডের রস টেইলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ২২৮/৫ (তামিম ৯৫, এনামুল ৭, মার্শাল ৪১, মমিনুল ৪৭, সাকিব ২০, মুশফিক ১৪*; ওয়াগনার ২/৪২, অ্যান্ডারসন ১/১৪, সোধি ১/৩৮, বোল্ট ১/৫০)