আগ্রাসী ক্রিকেটের ভেলায় চড়ে নতুন যুগের সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে যেকোনো লক্ষ্য যেখানে কঠিন, সেখানে টানা চার ম্যাচে জিতেছে আড়াইশ ছাড়ানো রান তাড়া করে। তবে এতেই তারা পরিপূর্ণ দল হয়ে গেছে বলে ভাবছেন না ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচের মতে, এখনও কাজ বাকি রয়ে গেছে।
Published : 12 Jul 2022, 07:20 PM
কদিন আগেও বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি ছিল ইংল্যান্ড। দেড় বছরে ১৭ টেস্টে জয় ছিল কেবল একটি। ম্যাককালামের ছোঁয়ায় উন্নতির আভাস স্পষ্ট। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ডকে। পরে ভারতের বিপক্ষে গত বছর স্থগিত হওয়া ম্যাচ নতুন সূচিতে খেলে গড়ে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি।
খেলোয়াড়ি জীবনে আগ্রাসন ছিল ম্যাককালাম কাছে শেষ কথা। ইংলিশদের টেস্ট কোচ হওয়ার পর সেই পথেই হাঁটছেন তিনি। তার কোচিংয়ে প্রতিটি ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে ইংল্যান্ড।
তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না ম্যাককালাম। এসইএনজেড ব্রেকফাস্ট-শোতে বললেন, ইংল্যান্ডের জন্য জয়কে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করতে চান তিনি।
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখনও আমরা পুরোপুরি তৈরি নই। আগ্রাসী মানসিকতার ক্রিকেটে আমরা এক মাস পার করেছি এবং দারুণ কিছু ফলও পেয়েছি। বিশ্ব ক্রিকেট তাতে কিছুটা নজরও দিয়েছে। তবে নিশ্চিত করতে হবে, এটাই আমাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়।”
“এই ঘরানার ক্রিকেট এবং আমরা যা অর্জন করার চেষ্টা করছি, তা যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য। আর এটা করতে পারাই হবে প্রকৃত চ্যালেঞ্জ।”
জয়ের ধারা বজায় রাখার পথে যে কন্ডিশনের পার্থক্য বড় বাধা হয়ে আসতে পারে ভালো করেই জানেন ম্যাককালাম। জানালেন, চাপকে বশ করার সামর্থ্য বেশ ভালোই আছে তার দলের।
“বিশ্বের আলাদা আলাদা কন্ডিশন এটাই বোঝায় যে, আমাদেরকে মানিয়েও নিতে হবে। তবে দেখুন, আমার মনে হয় এই দলটির এটা ভালো দিকগুলোর একটি। শেষ সিরিজ দুটিতে এমন অনেক সময় এসেছে যেখানে আমাদের চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে।”
পরের টেস্ট সিরিজটি ঘরের মাঠেই খেলবে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অগাস্টে শুরু হবে তিন টেস্টের লড়াই। তাই দেশের বাইরের কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আপাতত হতে হচ্ছে না ম্যাককালামকে।