মাশরাফির কাছে সাকিব-তামিমরা ‘ভাইয়ের মতো’

মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বের শেষ ম্যাচ শেষে তাকে কাঁধে তুলে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন তামিম ইকবাল। সেটি নিয়ে তামিমের গর্বের শেষ নেই। মাশরাফির গর্বও তামিমদের নিয়েই। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে খেলতে পারাকে নিজের বড় প্রাপ্তি মানেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2020, 03:01 AM
Updated : 5 May 2020, 10:22 AM

গত ৬ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নেতৃত্বের গৌরবময় অধ্যায়ের ইতি টানেন মাশরাফি। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন ৫০টি জয়ের স্বাদ।

সেদিন ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে দৌড়ে গিয়ে দলের সব ক্রিকেটার বিশেষ একটি জার্সি পরে আবার মাঠে নেমেছিলেন, সবার জার্সির পেছনে ছিল মাশরাফির নাম ও জার্সি নম্বর। তামিম এরপর কাঁধে তুলে নেন মাশরাফিকে। তাদেরকে ঘিরে থাকেন দলের অন্যরা, সবাই মিলে মাঠ প্রদক্ষিণ করে জবাব দেন দর্শকদের অভিনন্দনের।

তামিমকেই দেওয়া হয়েছে মাশরাফির ছেড়ে দেওয়া দায়িত্ব। ফেইসবুক লাইভে সোমবার রাতে বাংলাদেশের সদ্য সাবেক ও বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়কের আড্ডায় তামিম বললেন, তার জন্য স্মরণীয় এক স্মৃতি মাশরাফিকে ওভাবে সম্মান জানাতে পারা।

“আপনার শেষ ক্যাপ্টেন্সির ম্যাচে আমি আপনাকে যে কাঁধে তুলে নিলাম, ম্যাচের আগেই ঠিক করেছিলাম যে আমি নেব। চাইনি যে অন্য কেউ নিক। তো যখন আপনাকে কাঁধে নিলাম, ১০-১৫ সেকেন্ড দাঁড়াতে পারছিলাম না। আমি তো ভাবছিলাম, ‘ক্যামেরা-ট্যামেরা সব সামনে, বেইজ্জতি হয়ে যাব!’ আল্লাহর রহমত, কীভাবে যেন দাঁড়িয়ে গেছি।”

“এই একটা স্মৃতি, আমার জীবনে সবসময় আমি গর্ব করব যে আপনাকে ওই সময় তুলে ধরতে পেরেছি।”

তামিমের কথায় একটু আবেগময় কণ্ঠে মাশরাফি বললেন, তিনি গর্ব করেন তামিম-সাকিবদের সঙ্গে খেলতে পারায়।

“তামিম ধন্যবাদ…কী বলব তোকে। আমি সেদিন তোকে বারবার বলছিলাম যে নামিয়ে দে, ইনজুরি যেন না হয়। আমি আরেকটু বলি, তোরা যারা আছিস, আমার ভাইয়ের মতো। তুই, সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক…এখন যারা আসছে, তারাও। সবসময় চাই, তোরা ভালো করবি বাংলাদেশের জন্য। আমি সত্যি বলতে, সবসময় গর্ব করব যে তোদের সঙ্গে খেলেছি।”

‘তুই সবচেয়ে বেশি রান করেছিস বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাটে। সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তো বটেই, ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটারও। আজ বেন স্টোকসের কথা বলা হয়, সাকিবও কিন্তু ওই জায়গায়। মুশফিককে দেখেছি, ২২-২৩ গড় ছিল। গত তিন-চার বছরে সে ওটাকে ৩৬-৩৭ গড়ে নিয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য! রিয়াদ তো ভিভিএস লক্ষনের মতো। সবসময় হয়তো রান করবে না, কিন্তু দলের যখন প্রয়োজন, তখন সবসময়ই দাঁড়িয়ে যায়।”