যে ভুল সংশোধনের দিকে তাকিয়ে মাহমুদউল্লাহ

ব্যাটিংয়ে ১০-১৫ রান কম, বোলিংয়ে বেশ কিছু বাজে বল, ফিল্ডিংয়ে হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ, কাজে লাগানো যায়নি কয়েকটি রান আউটের সুযোগ-প্রথম টি-টোয়েন্টির এই ভুলগুলো ঠিক করে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে উইকেট ঠিকঠাক বুঝে খেলতে চায় সেই অনুযায়ী।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শনিবার একই মাঠে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সময় খুব বেশি নেই, তবে প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো দ্রুত সংশোধন করে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক।

“ব্যাটিংয়ে আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। এরপরও ১৪০ রান নিয়ে যে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করতে পেরেছি, এটা আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব।”

“বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায় আমরা সহজ কিছু চার দিয়েছি। লেগ সাইডে আমরা ৬/৭ টার মতো চার দিয়েছি। এই জায়গাটায় যদি আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম সঙ্গে যদি ফিল্ডিংটাও ভালো হতো তাহলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।”

তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটি ছিল বড় বেশি সাবধানী। ১১ ওভার পর্যন্ত টেকা শুরুর জুটি রান রেট নিতে পারেনি সাতের ঘরে। পাওয়ার প্লেতে তারা তুলেছিলেন কেবল ৩৫ রান। তবে হারের পেছনে তাদের মন্থর ব্যাটিংয়ের দায় দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ।

“আমার মনে হয়, পাওয়ার প্লেতে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছিলাম, সেটা ঠিক আছে। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।”

“ওরা দারুণ শুরু এনে দিয়েছিল। এরপর আমরা এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়েছি। এর একটা ছিল নাঈমের, যে খুব ভালো খেলছিল। এরপর যদি আমরা ১৫-১৭ রানের একটি ওভার পেতাম, সেখান থেকে রান রেটটা উপরের দিকে যেত। আমার মনে হয়, এই জায়গাতে আমাদের কিছুটা ঘাটতি ছিল।”

উইকেটের আচরণ অবাক করেছে মাহমুদউল্লাহকে। পরের ম্যাচে উইকেটের দিকেও নজর দেওয়ার কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“প্রথম দিকে বল যেভাবে ব্যাটে এসেছে, একটু পুরনো হয়ে গেলে আর সেভাবে আসেনি। একটু থেমেছে। ব্যাটসম্যানদের বলের নিচে যেতে ভুগতে হয়েছে। পরের ম্যাচে এই জায়গাটায় মনোযোগ দিতে হবে। ফিল্ডিংয়ে আমরা বেশ কিছু রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেছি, ক্যাচ মিস করেছি। এগুলো না হলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো।”