তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বুধবার রাতে লাহোর যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আতহার রওনা হয়ে গেছেন দুপুরেই। বাংলাদেশ দল যাচ্ছে বিশেষ বিমানে সরাসরি। আতহার যাবেন ব্যাংকক হয়ে, ট্রানজিট মিলিয়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টার ভ্রমণ তার।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন অনেক শঙ্কা ও উৎকণ্ঠাকে সঙ্গী করে। মুশফিকুর রহিম সফর থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নিজেকে। মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, সফরের জন্য রাজী হতে পরিবারকে বোঝানো সহজ ছিল না তার জন্য। একই অভিজ্ঞতা কম-বেশি হওয়ার কথা স্কোয়াডের সব ক্রিকেটারের।
আতহারের মনে সেদিক থেকে শঙ্কার মেঘের আনাগোণা একটু কমই। পাকিস্তানে নিয়মিত ক্রিকেট বন্ধ থাকার এই সময়টায় তিনি যে দুইবার ঘুরে এসেছেন সেখানে!
একবারও অবশ্য ধারাভাষ্যকার হিসেবে নয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের মেয়েদের দলের পাকিস্তান সফরে তিনি গিয়েছিলেন সেই সময়ের নির্বাচক হিসেবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সঙ্গে।
এবার যাওয়ার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেই দুই সফরের অভিজ্ঞতা শোনালেন আতহার।
“এমনকি এমনি কোনো প্রয়োজনেও হোটেলের বাইরে যাওয়ায় মানা ছিল আমাদের। খুব জরুরি কিছু হলে, ওদের অনুমতি নিয়ে যেতে হতো। সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া হতো বা ওদের গাড়ীতেই নিয়ে যাওয়া হতো। সামান্যতম ঝুঁকি ওরা নেয়নি। এবার তো নিশ্চয়ই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া হবে।”
তবে আগের দুইবার যেমন, এবারও যাওয়ার আগে পরিবারকে বুঝিয়ে তবেই সফরের অনুমতি পেয়েছেন আতহার।
“এটা তো করতে হবে, পরিবারের সদস্যদের চিন্তা তো থাকেই। আমার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ওখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেছি। ওরা এরপর বলেছে, ঠিক আছে।”
ধারাভাষ্যকার ও টিভি ক্রুরা টিম হোটেলেই থাকবেন কিনা, সেটি অবশ্য নিশ্চিত নন আতহার। তবে তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে তাদের জন্যও।
আপাতত আতহারের আশা, এত আলোচনার সফরে গিয়ে যেন বাংলাদেশ সিরিজ জিতে ফেরে।
“আমি সবসময়ই দলকে নিয়ে আশাবাদী। সবসময় বড় কিছুর স্বপ্ন দেখি। আমার মন বলছে, আমাদের দল এবার পাকিস্তানে সিরিজ জিতবে। আশা করি, ছেলেরা ভালো খেলবে। ওদের সঙ্গে আমরা সবাই নিরাপদে দেশে ফিরব।”