বোলারদের পাশে তামিম

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বোলিং ব্যর্থতায় কঠোর সমালোচনা হচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের দিকেও আছে সমালোচনার তীর। তামিম ইকবাল মনে করছেন কঠিন এই সময়ে বোলারদের পাশে থাকা সবচেয়ে জরুরি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক পার্ল থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 05:13 PM
Updated : 17 Oct 2017, 06:49 PM

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের বোলাররা নেন ১২ উইকেট। কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডেতে তারা ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। নিতে পারেননি একটি উইকেটও। টেস্টে ব্যর্থতার পর শুরু হওয়া সমালোচনার আগুনে যেন ঘি ঢালে প্রথম ওয়ানডের পারফরম্যান্স। কোচ ও বোলারদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সমালোচনায় রাশ টানতে বললেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম।   

“ওয়ালশ যে তার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। … আমি একজন ব্যাটসম্যান, তাই তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ কম। যতটুকু বুঝি, দেখি, তিনি তার নিজের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করার চেষ্টা করছেন। দিন শেষে এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে, আমরা মাঠে কিভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। আমরা যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে একক কাউকে দোষ দেওয়ার আমি পক্ষে না।”

বোলারদের সামর্থ্যে কোনো ঘাটতি দেখেন না তামিম। তাদের চেষ্টা নিয়েও অভিযোগ নেই তার। প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি হতে দেখেন বোলারদের। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মনে করেন, সময়টা বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে নেই।

“ব্যাটিং ইউনিটের যেমন সময় খারাপ যায় তেমনই একটি বোলিং ইউনিটেরও খারাপ সময় যেতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে, গণমাধ্যমেও বোলারদের নিয়ে বেশ কথা বলা হচ্ছে। হওয়াটাও স্বাভাবিক। হয়তো ওরা যথাযথ বোলিং করতে পারেনি। আমরা যেন ভুলে যাই, গত দুই বছরে আমাদের সাফল্যের পেছনে কিন্তু পেস বোলিং ইউনিটেরও বড় অবদান আছে।”

“একটা-দুইটা ম্যাচ বা একটা সিরিজ দেখে এত আলোচনা যদি আমরা না করি তাহলেই ভালো। কারণ, ওরা সবাই তরুণ বোলার। ২০-২৫ বছর বয়স এদের। যদি এই সিরিজ ভালো নাও যায়, এই সিরিজ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের সিরিজে ওরা ভালো করবে। ওখান থেকে আমি নিশ্চিত কেউ না কেউ ভালো করবে।”

তামিম মনে করেন, সবার সমর্থন পারে রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে। 

“ওরা খারাপ করছে দেখে যে, পুরো বাংলাদেশ, মিডিয়া, সব খেলোয়াড়েরা মিলে যদি ওদের দোষ দিই তাহলে কোনোভাবেই ভালো হবে না। ওদের সমর্থন দরকার। ... ওদের সবারই সামর্থ্য আছে। আজ হোক, কাল হোক ওরা সবাই ফিরবে।”