এমন মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট!

সংবাদ সম্মেলনের পর বোল্যান্ড পার্কের উইকেট দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল। দক্ষিণ আফ্রিকার আর সব মাঠের মতো ভালো উইকেট। কিন্তু আউটফিল্ড? দেখে তামিমের মনে হলো আবাহনী মাঠের কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক পার্ল থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 03:42 PM
Updated : 17 Oct 2017, 06:50 PM

ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠে এক সময় ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হত। ছিল অসমান আউটফিল্ড, জায়গায় জায়গায় ঘাস নেই। ফিল্ডিং করা ক্রিকেটারদের জন্য বিপজ্জনক ছিল। হঠাৎ করে বল লাফিয়ে উঠায় চোট পাওয়া ছিল নিয়মিত চিত্র। সেই মাঠে এখন আর প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ হয় না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু বোল্যান্ড পার্কের চারপাশ নজর কাড়া। তিন পাশ খোলা, এক দিনে পাহাড়ের সারি। পাহাড়ের চূড়ায় খেলা করছে মেঘ। কিন্তু আউটফিল্ডে চোখ যেতেই তামিম অস্ফুটে বললেন, ‘আবাহনী মাঠ’।

এমন তুলনা করাটা স্বাভাবিক। বোল্যান্ড পার্কে এখানে-সেখানে ঘাস নেই। যে ঘাস আছে সেগুলোও সব সবুজ নয়। বেরিয়ে আছে বালু মিশ্রিত কালো মাটি। আউটফিল্ড অসমান। রান বাঁচাতে ডাইভ দেওয়ার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে ফিল্ডারদের।

পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। বৃষ্টির পর খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে লাগতে পারে লম্বা সময়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কেবল ম্যাচের দিনই বৃষ্টি নেই। এর আগে-পরে পার্লে বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হলে বুধবার সময় মতো ম্যাচ শুরু করা খুব কঠিন হবে।

এই ভেন্যুতে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল। এবারই প্রথম বোল্যান্ড পার্কে ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো সবার আগে মাঠ দেখতে, উইকেটের খোঁজ নিতে আসেন চন্দিকা হাথুরুসিংহে। এবার তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। তাদের দুই জনকে লম্বা সময় ধরে কিউরেটের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আগের তিন ভেন্যুতেই স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ছিল যেন সবুজ গালিচা। সেই সব মাঠে খেলার পর পার্লের আউটফিল্ড দেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একটু ধাক্কা খাওয়ারই কথা।