দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শুরু থেকেই প্রত্যাশিত চেহারায় নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খুব ভালো হয়নি ব্যাটিং, টেস্ট সিরিজ জুড়ে তো কেবল ধুঁকেছেই। প্রথম ওয়ানডেতে ২৭৮ রান করেছে বটে, তবে ওই ব্যাটিং স্বর্গে রান হতে পারত আরও অনেক বেশি।
ব্যাটিংয়ের দুর্দশাটা অনুভব করতে পারছেন তামিম। জানা আছে সমাধানও। সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের কাছে এই ওপেনারের তাগিদ, থিতু হলে বড় ইনিংস খেলার।
“যদি ২০-৩০ রানের ইনিংসগুলো আমরা ৬০-৭০ করতে পারি, সাথে যদি একজন ৮০-১০০ করে, তাহলে আমাদের রানটা অনেক বড় হয়ে যাবে। একই সঙ্গে আমরা খেলোয়াড়রাও শিখব, এই কন্ডিশনে কিভাবে রান করতে হয়। যদি এভাবে হয় তাহলে খুব ভালো।”
“ব্যাটসম্যানদের সবার নিজের খেলা নিয়েও চিন্তা করা উচিত। ২০-৩০ নিজের জন্য যথেষ্ট নয়, দলের জন্য যথেষ্ট নয়। বড় স্কোর গড়তে হবে।”
ব্যাটসম্যানদের চেষ্টায় অবশ্য কোনো কমতি দেখছেন না তামিম। ঘাটতি দেখছেন না অনুশীলনে। বললেন একটু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলতে। আর কামনা করলেন ভাগ্যের সহায়তা।
“ওদের ওয়ার্ক এথিক্স, ওরা যেভাবে অনুশীলনে পরিশ্রম করছে, তা নিয়ে সতীর্থ হিসেবে আমি কোনো অভিযোগ করতে পারি না। ওরা খুব ভালো করছে, অনুশীলনে যতটা সম্ভব পরিশ্রম করছে। একটু ভাগ্যের সহায়তা লাগবে, আর একটু স্মার্ট হতে হবে।”
বাংলাদেশের ব্যাটিং দীনতার একটা বড় কারণ তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিও। চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি তামিম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার খেলার সম্ভাবনা প্রবল। সেরা ব্যাটসম্যান ফিরছেন, এবার যদি সেরা চেহারায় ফেরে দলের ব্যাটিং।