বলটা করে ফলো থ্রো শেষ না হতেই আবার ছুটলেন তাসকিন আহমেদ। ওপাশে ব্যাটসমান সোহরাওয়ার্দী শুভ যে ভূপাতিত! আবাহনীর ক্রিকেটাররা সবাই তখন ঘিরে ধরেছেন শুভকে, বাতাস করছেন কেউ কেউ। হতবাক তাসকিন তখন তাকিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠায়।
Published : 18 Jun 2016, 06:46 PM
আবাহনীকে জেতালেন সাকিব-তাসকিন-সাকলাইন
সাব্বিরদের হারিয়ে শীর্ষেই রূপগঞ্জ
নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে টিকে থাকল দোলেশ্বর
ম্যাচ শেষে সেই তাসকিনের মুখে দেখা গেল হাসি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, ভীষণ ভড়কে গিয়েছিলেন ওই সময়টায়। তবে শুভর গুরুতর কিছু হয়নি জেনে স্বস্তি পেয়েছেন।
আবাহনী-ভিক্টোরিয়া ম্যাচে তাসকিনের বলেই ঘাড়ের কাছে আঘাত পান শুভ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বোলিংয়ে ও শরীরী ভাষায় দারুণ আগ্রাসী ছিলেন তাসকিন। বল করেছেন তুমুল গতিতে। ভিক্টোরিয়া ব্যাটসম্যানদের নাড়িয়ে দিয়েছেন গতিতে, কাঁপিয়ে দিয়েছেন বাউন্সারে।
শুভ অবশ্য বাউন্সারগুলো ভালোভাবেই ছেড়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৫তম ওভারে হঠাৎ করেই নিচু হয়ে যায় তাসকিনের একটি শর্ট বল। শুভ চেষ্টা করেও এড়াতে পারেনি, বল লাগে হেলমেটের নিচে মাথার পেছনের দিকে ডানপাশে ঘাড়ের খুব কাছে।
“প্রথমে বুঝতে পারিনি খারাপ কিছু। কিন্তু যখন উনার কাছে ছুটে গেলাম, দেখি উনি পড়ে গিয়ে শুধু দোয়া পড়ে যাচ্ছেন। তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার সময় খুব খারাপ লাগছিল।”
তরুণ একজন ক্রিকেটারের জন্য এই ঘটনায় ভেঙে পড়া ছিল খুবই স্বাভাবিক। তবে তাসকিন প্রমাণ রেখেছেন দারুণ পেশাদারিত্ব ও মানসিক শক্তির। দ্রুতই সামলে নিয়েছেন নিজেকে। ওই ঘটনার পরের ওভারেই আরেকটি ক্ষিপ্র গতির বলে ফিরিয়েছেন চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে। ৩ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন আবাহনীর জয়ে।
তবে দিন শেষে দলের জয়ের চেয়েও তাসকিনের জন্য বড় স্বস্তি হয়ে এসেছে শুভর শঙ্কামুক্ত হওয়ার খবর।
“মাঠে ছিলাম, কিন্তু সত্যি বলতে খুব টেনশন হচ্ছিল। ভালো লাগছে যে উনার বাজে কিছু হয়নি। উনি ভালো আছেন জেনে দলের জয়টা আরও উপভোগ করতে পারছি।”