লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দুই তরুণ সাইফ হাসান ও সালমান হোসেনের শতকের পরও জিততে পারনি ক্রিকেট কোচিং স্কুল। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটিকে ৫ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রথম জয় পেয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট।
Published : 26 Apr 2016, 07:32 PM
মঙ্গলবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ৩ বলে ২৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের বেশি করতে পারেনি ক্রিকেট কোচিং স্কুল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ক্রিকেট কোচিং স্কুল। কিন্তু দুই তরুণ সাইফ ও সালমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। তৃতীয় উইকেটে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।
আগের ম্যাচেই লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক হয় গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা সাইফের। সেই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া এই তরুণ ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেননি।
১৭ বছর বয়সী সাইফ ফেরার আগে করেন ঠিক ১০০ রান। তার ১২৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ৭টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল ক্রিকেট কোচিং স্কুলের। কিন্তু ৪০ ওভার ৫ বল স্থায়ী তৃতীয় উইকেট ভাঙার পর খেলার চিত্রটা বদলে যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ম্যাচ সেরা সালমান। রুবেল হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনিও। শেষ ওভারে রুবেলের বলে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ১১০ রান করেন ২০ বছর বয়সী সালমান। তার ১৩৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
৪৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সেরা বোলার রুবেল।
এর আগে শুরুটা ভালো হয়নি হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা প্রাইম ব্যাংকের। ৯৫ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসমানকে হারায় তারা। তবে তাইবুর রহমান (৭৬) ও ইয়াসির আলীর (৫৩) দৃঢ়তায় লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দলটি।
৪৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের সেরা বোলার নাসুম আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক: ৪৮.৩ ওভারে ২৫৭ (মারুফ ১৯, শাহনাজ ৩৬, মুনাবিরা ৪, সাব্বির ১৬, শুভাগত ১৪, তাইবুর ৭৬, ইয়াসির ৫৩, নুরুল ১৪, রুবেল ৫, নাজমুল ৪*, মনির ৩; নাসুম ৩/৪৫, রিফাত ২/২৯, শাওন ২/৩৮, সাইফুদ্দিন ২/৫৩, সালমান ১/৩৫)
ক্রিকেট কোচিং স্কুল: ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (উত্তম ৫, পিনাক ৭, সাইফ ১০০, সালমান ১১০, সাইদ ১০, সাইফুদ্দিন ০, নাসুম ৮, রাজিন ১*, নবি ১*; রুবেল ৩/৪৮, শুভাগত ২/৩৬, মনির ২/৪৯)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান হোসেন।