আইপিএলর প্রতি ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই পেসারের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের আরেকটি নজির দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। ‘ম্যাজিকাল’ তিন স্পেলে তিনিই কম রানে বেধে রেখেছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে।
Published : 23 Apr 2016, 10:11 PM
শনিবার রাতে সতীর্থদের বোলিংয়ের সঙ্গে মেলানো যাবে না মুস্তাফিজুরের বোলিং। ভুবনেশ্বর কুমার-বারিন্দর স্রান-মোইজেস হেনরিক্সদের বলে ওভার প্রতি আটের বেশি করে রান করে অতিথি দলের ব্যাটসম্যানরা। সেখানে তরুণ মুস্তাফিজের বলে টিকে থাকতেই সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে দুই উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ এদিন ছিলেন আরও দুর্বোধ্য।
পাওয়ার প্লেতে ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিতে পারতেন মুস্তাফিজ। তার কাটার সেবার একটুর জন্য মানান ভোহরার বাইরের কানা নেয়নি। সেই ওভারে ভোহরাকে একটুও স্বস্তি দেননি ২০ বছর বয়সী মুস্তাফিজ।
রানের জন্য ছটফট করা ভোহরাকে বেঁধে রেখে চাপ বাড়ান মুস্তাফিজ। সেই চাপেই শেষ পর্যন্ত রান আউট হয়ে বিদায় নেন ভোহরা।
আইপিএলে নিজের প্রথম মেডেন ওভার করা মুস্তাফিজের বলে রান নিতে দশম বল পর্যন্ত করতে হয় পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের। ইয়র্কার বল কোনোমতে ঠেকিয়ে এক রান নেন অক্ষর প্যাটেল। তার আগেই অবশ্য সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শন মার্শকে (৪০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ।
বিপজ্জনক হয়ে উঠা মার্শকে ফেরাতেই নিজের সেরা অস্ত্রকে নিয়ে এসেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। এর আগে চমৎকার এক ক্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ফিরে যাওয়াতেও অবদান রাখেন মুস্তাফিজ।
আইপিএলের এবারের আসরের সবচেয়ে হিসেবী বোলিং করা মুস্তাফিজকে সম্মান জানাতে ভোলেননি অধিনায়ক ওয়ার্নার। মুস্তাফিজকে সবার সামনে রেখে হাততালি দিতে দিতে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মুস্তাফিজের ২৪ বলের মধ্যে ১৭টিই ছিল ডট। তার বলে কোনো চার-ছয় হাঁকাতে পারেনি পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা।
মুস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি ডেভিড মিলারের পাঞ্জাব।