যে কোনো আবহাওয়ায় অনুশীলনের জন্য মিরপুরে বিসিবি একাডেমির ২০টি উইকেট গ্রিন হাউজের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে।
Published : 01 Feb 2023, 05:15 PM
মরুভূমি কিংবা শীতপ্রধান দেশে কৃষিকাজের জন্য গ্রিন হাউজের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। এটিকে সর্বপ্রথম ক্রিকেটে এনেছে নিউ জিল্যান্ড। তাদের দেখাদেখি শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়াও। এবার সেই ‘গ্রিন হাউজ’ বসতে চলেছে মিরপুরে বিসিবির একাডেমি মাঠে।
বর্ষার সময়েও নির্বিঘ্ন অনুশীলনের জন্য একাডেমিতে গ্রিন হাউজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বুধবার এই খবর জানিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠের এক প্রান্তে ৩০ মিটার প্রশস্ত ও ৭৫ মিটার লম্বা জায়গাজুড়ে এই গ্রিন হাউজ স্থাপন করা হবে। বৃষ্টির মৌসুমে চারপাশে বিশেষ পর্দা টেনে দিয়ে ভেতরে অনুশীলন করা যাবে। গ্রীষ্মকালে অনুশীলনের সময় গরম থেকে বাঁচতে এই পর্দা সরিয়ে নেওয়া যাবে।
“আমরা (বিসিবি) একাডেমিতে গ্রিন-হাউজ এফেক্টের যে অনুশীলন সুবিধা, যেটা নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে আছে, সেরকম স্থাপন করতে যাচ্ছি। উত্তর-দক্ষিণ দিক মিলিয়ে আমরা ২০টি উইকেট এর মধ্যে আনব। এই ২০টি উইকেটে ভরা বর্ষায়ও স্বাভাবিকভাবে খেলা যাবে। এটি জুনের মধ্যেই স্থাপিত হয়ে যাবে।”
“এটি একপ্রকার ইনডোর সুবিধা বলা যায়। তবে বর্ষাহীন সময়ে পর্দা খুলে নেওয়া যাবে। আর বর্ষায় পর্দা টেনে অনুশীলন করা যাবে। বর্ষার সময় আমাদের ইনডোর ছাড়া আর খুব একটা অনুশীলনের জায়গা থাকে না। আগামী এক বছরের মধ্যে এটাকে একটা সুন্দর পরিকল্পনায় আনতে চাচ্ছি।”
প্রস্তাবিত এই গ্রিন হাউজের এখনও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। মাহবুব আনামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন তারা ক্রয় প্রক্রিয়ায় মধ্যে আছেন। মে মাসের মধ্যে এটির কাজ শেষ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
“প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মার্চের শেষ দিক থেকে এপ্রিলের মধ্যে চলে আসবে। পরে স্থাপনের জন্য মে মাস... হয়তো জুনের মধ্যে আমরা এটা ব্যবহার করতে পারব। আশা করি এই বর্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহার করলেই আমরা বুঝতে পারব কতটা উপকার পাওয়া যাচ্ছে।”
অনুশীলনের জন্য আধুনিক এই গ্রিন হাউজ স্থাপনে ঠিক কত টাকা খরচ হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান। তবে আনুমানিক ধারণা দিলেন তিনি।
“বাজেটের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। কিছু জিনিস আছে এটার ক্রয় প্রক্রিয়া। তবে এটার জন্য সব মিলিয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা লাগতে পারে। একটা ইনডোর বানাতে এখন ৫-৬ কোটি টাকাতেও হয় না। এটার সুফলটা হচ্ছে ঘোর বর্ষায়ও আমরা এটা ব্যবহার করতে পারব।”
অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক হিসেবে একাডেমিতে এই গ্রিন হাউজ বসানো হচ্ছে জানালেন মাহবুব আনাম।
“আমরা এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নিচ্ছি। যদি এখানে সফল হই তাহলে অন্যান্য যে অনুশীলন সুবিধা তৈরি করছি, সেখানেও হয়তো ব্যবহার করতে পারব।”