Published : 28 Apr 2025, 07:27 PM
শেষ বিকেলের দারুণ বোলিংয়ে হাসিমুখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে এবার ৫ উইকেট পাওয়ার সন্তুষ্টি বেশ আনন্দ নিয়েই বলছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। হঠাৎই এক প্রশ্নে চোয়াল শক্ত হয়ে গেল তার। জবাব দিলেন বেশ কড়া ভাষায়।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে তাইজুলের স্পিনেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ সেশনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে ১৬তম পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী স্পিনার। সবশেষ ছয় টেস্টে অভিজ্ঞ স্পিনারের এটি চতুর্থ পাঁচ উইকেট।
এক ম্যাচ আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের মনে রাখার মতো জয়ে ম্যাচ-সেরা ছিলেন তাইজুল। এরপর দারুণ ছন্দে থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু করলেও সিলেটে ভালো করতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। পরেরবার ৭০ রানে নেন দুই উইকেট।
মাত্র দুই উইকেট পাওয়ার ম্যাচে বোলিংও তেমন ভালো করতে পারেননি তাইজুল। চট্টগ্রামে প্রথম দিন ঘুরে দাঁড়িয়ে তার শিকার ৬০ রানে ৫ উইকেট। প্রথম দুই সেশনে দাপট দেখানো জিম্বাবুয়ের ইনিংস বেশিদূর এগোয়নি তাইজুলের কারণেই।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ভালো লাগা প্রকাশ করেন অভিজ্ঞ স্পিনার।
“অবশ্যই তৃপ্তির একটা বিষয়। কারণ সিলেটে আমি যেভাবে বোলিং করেছি, পঞ্চাশ টেস্ট খেলে ফেলা কারও জন্য ভালো কিছু নয়। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়েছি, এটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, দলকে সাহায্য করতে পেরেছি।”
প্রথম টেস্টে তাইজুলের বিবর্ণ বোলিংয়ের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজকে যথার্থ সমর্থন তিনি দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বড় লিডই পায় জিম্বাবুয়ে। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে আর ম্যাচ জিততে পারেনি স্বাগতিকরা।
ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, নিজের সেরা বোলিং করতে পারেননি তাইজুল। এর বাইরে সামাজিক মাধ্যমে কমবেশি সমালোচনার শিকার হন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একটু খারাপ করলেই অনেক সমালোচনা সইতে হয় কি না। জবাবে সমালোচনাকারীদের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ৩৩ বছর বয়সী স্পিনার।
“আমার কাছে মনে হয়, এতগুলো টেস্ট খেলার পর... আলহামদুলিল্লাহ, যতগুলো উইকেটই হয়েছে... একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে, আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।”