ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির সঙ্গে পারফরম্যান্সের বৈপরীত্য নিয়ে প্রশ্ন তুললে পাল্টা প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
Published : 23 Apr 2025, 09:06 PM
‘আপনাদের ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। বেতনও বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সুযোগ-সুবিধাও ভালো আছে মনে করেন। কোচিং স্টাফও যেমন চাচ্ছেন, তাও পাচ্ছেন। আর কি কি করলে টেস্টে এগোনো সম্ভব?’- সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে রাখা হয় এই প্রশ্ন। প্রশ্নটা শুনতে শুনতেই মুখ কিছুটা কঠিন হয়ে উঠল তার। বাংলাদেশ অধিনায়কের সেই কাঠিন্য ফুটে উঠল তার কণ্ঠে, ‘‘বেতন বাড়ানোয় মনে হয় আপনারা খুশি না...।”
ম্যাচ ফি ও পারিশ্রমিক বাড়ার সুখবর পেয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি শুরু করে বাংলাদেশ। গত মাসে বোর্ডের সাধারণ সভায় নেওয়া হয় এসব সিদ্ধান্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য টাকার অঙ্ক প্রকাশ করেনি বিসিবি।
তবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সূত্র থেকে জানা গেছে, এখন থেকে প্রতি টেস্টের জন্য ৮ লাখ টাকা ম্যাচ ফি পাবেন শান্তরা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই অঙ্ক যথাক্রমে ৪ লাখ ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগে যা ছিল ৬ লাখম ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকা।
বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও বাড়ানো হয়েছে এবার। চ্চ ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা তাসকিন আহমেদ মাসিক পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা। এছাড়া আরও ৪ ক্যাটেগরিতে যথাক্রমে ৮ লাখ, ৬ লাখ, ৪ লাখ ও ২ লাখ টাকা করে পাবেন বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২০ ক্রিকেটার।
আর্থিক সুবিধাদি বাড়ানোর পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক অনেক সুবিধাদি বেড়েছে শান্তদের। চলতি সিরিজ শুরুর আগে অনুশীলন সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা।
তবে মাঠের পারফরম্যান্সে উন্নতির ছাপ খুব বেশি নেই বাংলাদেশের। সাদা বলে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হতাশ করে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচে লড়াই করতেও পারেনি তারা।
হতশ্রী পারফরম্যান্সে ধারা অব্যাহত টেস্ট ক্রিকেটেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে গেছে তারা।
ম্যাচ হারার সংবাদ সম্মেলনে পারিশ্রমিক ও সুযোগসুবিধা বাড়ানোর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুরুতে পাল্টা প্রশ্ন করলেন শান্ত। পরে অবশ্য নিজেদের দায় মেনে নিয়ে দায়িত্ববোধ বাড়ানোর তাগিদ শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আমার মনে হয়, অনেক দিন পর ম্যাচ ফি বেড়েছে। অবশ্যই প্রশংসা করার মত বিষয়। আর কী করলে ভালো করব, জিনিসটা এমন নয়। ভালো ক্রিকেট খেলা অনেক জরুরি। দায়িত্ব নিয়ে খেলাটা খুব জরুরি। আমরা যেমন ক্রিকেট খেলছি, আমাদের অবশ্যই সেই দায়িত্বটা নিতে হবে যে, আমরা ভালো করতে পারছি না।”
“এখন কীভাবে ভালো করতে হবে, এটা সবাই মিলে আলাপ করে সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে করতে হবে। আসলে মাঠে সারাদিন কিন্তু সবাই কষ্ট করছে, মেহনত করছে। তবে মাঠে বাস্তবায়নের দিকে অনেক ঘাটতি আছে। তাই এই জায়গায় সুনির্দিষ্টভাবে যার যা দায়িত্ব আছে, তাকে সেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।”