অল্পের জন্য জিততে পারল না তার দল লাহোর কালান্দার্স, পেল টানা পঞ্চম হারের তেতো স্বাদ।
Published : 25 Feb 2024, 11:34 PM
পেসার লুক উডের নিচু ফুল টস ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কায় ওড়ালেন রাসি ফন ডার ডাসেন। ৯৬ থেকে তিনি পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কের ঘরে। কাজ বাকি তখনও। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দলের প্রয়োজন ১৮ রান, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান সুযোগ পেলেন কেবল একটি বল খেলার। হেরে গেল তার দল।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স চলতি আসরে হারল নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই! তাদের বিপক্ষে ৮ রানে জিতল পেশাওয়ার জালমি।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে ৪ উইকেটে ২১১ রান করে পেশাওয়ার। ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ পর্যন্ত যেতে পারে লাহোর।
আসরের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫২ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেও হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ফন ডার ডাসেনকে। তার বিস্ফোরক ইনিংসটি গড়া ৬ ছক্কা ও ৭ চারে।
তাকে ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা সাইম আইয়ুব। পেশাওয়ার ওপেনার ৫৫ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৮৮ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটিতে সাইমের সঙ্গী, অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৫ চারে ৪৮ রান। তিনে নেমে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রভম্যান পাওয়েল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইম ও বাবরের ব্যাটে ভালো শুরু পায় পেশাওয়ার। পাওয়ার প্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৫৭ রান।
ঝড় তুলে সাইফ ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৬ বলে। বাবর বিদায় নেন পঞ্চাশ থেকে ২ রান দূরে থাকতে। তাকে ফিরিয়ে ৮৬ বলে ১৩৬ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরে তিনি বোল্ড করে থামান শতকের পথে থাকা সাইমকে।
মোহাম্মদ ইমরানের এক ওভারে টানা চার বলে দুটি করে ছক্কা ও চার মারেন পাওয়েল। শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়ে থামেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফাখার জামানকে হারায় লাহোর। তিনে নামা ফন ডার ডাসেন তৃতীয় উইকেটে শেই হোপের সঙ্গে ৪৭ বল ৭১ রানের জুটিতে এগিয়ে নেন দলকে। ফিফটি তুলে নেন তিনি ২৭ বলে।
হোপ বিদায় নেন ২৩ বল ২৯ রান করে। ফন ডার ডাসেন বলতে গেলে একাই বাঁচিয়ে রাখেন দলের আশা। চতুর্থ উইকেটে তিনি আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি (২৬ বলে ৫৫) গড়েন আহসান হাফিজের সঙ্গে।
শেষ তিন ওভারে লাহোরের দরকার ছিল ৪৭ রান। অষ্টাদশ ওভারে সালমান ইরশাদকে তিনটি চার মারেন জাহানদাদ খান, ওভারে আসে ১৩ রান। দুই ওভারে চাই ৩৪।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে উডকে চার মেরে নম্বইয়ের ঘরে পৌঁছানোর পর দুটি ডাবল নিয়ে সেঞ্চুরির কাছে চলে যান ফন ডার ডাসেন। এরপর ছক্কা মেরে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এই ওভারে তিনি নেন ১৬ রান।
শেষ ওভারে ইংলিশ বাঁহাতি পেসার পল ওয়াল্টারের প্রথম বলে জাহানদাদ এক রান নিয়ে স্ট্রাইকে দেন ফন ডার ডাসেনকে। তবে দ্বিতীয় বলে ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। লেগ বাই থেকে আসে ১ রান।
তৃতীয় বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাহানদাদ। চতুর্থ বলে দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান সিদান্দার রাজা। পঞ্চম বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি কার্লোস ব্রেথওয়েইট। শেষ বলে তার ছক্কা যথেষ্ট হয়নি।
স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে কেবল ৯ রান দেন ওয়াল্টার। জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসে তার দল।
চার ম্যাচে পেশাওয়ারের দ্বিতীয় জয় এটি।