বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলল আফগানিস্তানও

স্বাগতিক ভারতসহ সপ্তম দেশ হিসেবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে জায়গা চূড়ান্ত হলো আফগানদের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 06:01 PM
Updated : 27 Nov 2022, 06:01 PM

টপ অর্ডারে ভালো শুরুর পর মিডল অর্ডার থেকে মিলল না তেমন সমর্থন। ভালো ভিত গড়েও তাই বড় হলো না আফগানিস্তানের স্কোর। তবে তাদের বোলারদের পরীক্ষা দিতেই হলো না সেভাবে। বৃষ্টির বাগড়ায় যে ম্যাচই গেল ভেস্তে! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলল আফগানরা।

পাল্লেকেলেতে রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানরা গুটিয়ে যায় ২২৮ রানে। রান তাড়ায় লঙ্কানরা ২.৪ ওভার ব্যাটিং করতেই নামে বৃষ্টি। পরে আর খেলাই হতে পারেনি।

বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১৪ ম্যাচে ১১ জয়ের সঙ্গে এই পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট পেল আফগানরা। সব মিলিয়ে ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম দেশ হিসেবে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করল তারা।

সুপার লিগ থেকে স্বাগতিক ভারত ছাড়া মোট ৭টি দল পাবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ। পয়েন্ট তালিকার সেরা আটের বাইরে থাকা দলগুলোর কেউই আফগানিস্তানকে টপকে যেতে পারবে না। তবে মন্থর ওভার রেটে পয়েন্ট কাটা গেলে বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি।

সেরা আটের বাইরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে রয়েছে ১৬ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি ৮ ম্যাচের সব কয়টি জিতলে ১৩৯ পয়েন্ট পেতে পারত তারা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ছেড়ে দেওয়ায় তাদের পক্ষে ১০৯ পয়েন্টের বেশি পাওয়া সম্ভব নয়।

আফগানিস্তানের আগে ভারত ছাড়া বিশ্বকাপে জায়গা চূড়ান্ত হয়েছে নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।

বৃষ্টির শঙ্কা থাকার পরেও দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় আফগানিস্তান। দেখেশুনে তিন ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পর মাহিশ থিকশানার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বল ছক্কায় ওড়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পরের ওভারে প্রথম চার মারেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।

তবে বেশি দূর যাওয়া হয়নি প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিমের। ১০ রান করে তিনি বোল্ড হন লাহিরু কুমারার বলে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ। দুজন মিলে যোগ করেন ১১৩ রান। 

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৯ বলে ফিফটি করেন গুরবাজ। রহমতের ফিফটি হয় ৬৩ বলে। দুজনের কেউই বেশি বড় করতে পারেননি নিজেদের ইনিংস। ৪টি করে চার-ছয়ে ৭৩ বলে ৬৮ রান করেন রহমানউল্লাহ। রহমতের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৫৮ রান।

পরে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিও পারেননি বড় কিছু করতে। হতাশ করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাইবরা। শেষ দিকে নবি ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে দুইশ পার করান।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। থিকশানা ও কুমারার শিকার ২টি করে উইকেট।

আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হওয়ার পর নামে গুঁড়ি বৃষ্টি। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর শুরু হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তারা ২.৪ ওভারে ১০ রান করার পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে আর খেলা সম্ভব হয়নি।

প্রথম ম্যাচে ৬০ রানের জয়ে আপাতত সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল সফরকারীরা। শেষ ম্যাচ বুধবার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২২৮ (গুরবাজ ৬৮, ইব্রাহিম ১০, রহমত ৫৮, হাশমতউল্লাহ ২৮, নাজিবউল্লাহ ৬, গুলবাদিন ৬, নবি ৪১, রশিদ ৩, মুজিব ০, ফারুকি ২*, ইয়ামিন ১; রাজিথা ৯-২-৩১-৩, থিকশানা ১০-১-৪৯-২, কুমারা ৬.২-০-৫০-২, হাসারাঙ্গা ১০-০৩৯-১, লাকশান ৩-০-২১-০, ধনাঞ্জয়া ১০-০-৩৭-১) 

শ্রীলঙ্কা: ২.৪ ওভারে ১০/০ (নিসাঙ্কা ৩*, কুসল ২*; ফারুকি ১.৪-০-৮-০, মুজিব ১-০-২-০)

ফল: বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত।

সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে আফগানিস্তান ১-০তে এগিয়ে।